আপনার সন্তানটি বাড়ি থেকে শুরু করে বাইরে যে কোনো কারো দ্বারা যৌন নিগ্রহের শিকার হত পারে। গুড টাচ ব্যাড টাচ (good touch bad touch) এই বিষয়টি ছোট থেকে শেখাতে হবে। বাচ্চাদের এবিউজিং থেকে নিরাপদ রাখা যায় সেটা জানতে হবে । তার জন্যে একটা মুক্ত মনের প্রয়োজন আছে।
সন্তানকে প্রাইভেট পার্ট সম্পর্কে বোঝান।
সবচেয়ে আগে যেটা জরুরি সেটা হচ্ছে সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। যেন তার সাথে ঘটে যাওয়া যে কোন ঘটনা বাবা মাকে নিঃসংকোচে বলতে পারে।
কেউ যদি ব্যাড টাচ করে তখন সে কিভাবে প্রতিহত করবে? বা তার করণীয় ব্যাপার গুলো সম্পর্কে তাকে বুঝানো। যেমন, জোরে চিৎকার করা, No বলা, দৌড়ে ওই স্থান ত্যাগ করা, বাবা মা বা পরিবারের মানুষদের দ্রুত জানানো ইত্যাদি।
জানবেন মা বাবা সুশিক্ষিত হলে সন্তান শিক্ষিত হবে।প্রতিদিন সে তার বন্ধুদের সাথে কি করল? স্কুলে কি করল ইত্যাদি আদরের সুরে তার কাছে জানতে চাওয়া। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন তার সাথে খারাপ কিছু ঘটছে কি না? সন্তানকে কথা বলার জায়গা দিন।
শিশুদের সবাই ভালোবাসে, স্নেহ করে, কাছে টেনে আদর করে। কিন্তু কোনটা ভালো স্পর্শ, কোন স্পর্শটা মন্দ সেটা বোঝাতে হবে। অভিভাবকদের গাফিলতির জন্যে অনেক সময় অনেক ক্ষতি হয়ে যায় মেয়েটির। লালসার মুখে পড়ে ছোটো ছোটো মেয়েরা।
আর শুধু যে মায়েরাই এই দায়িত্ব নেবেন এমন নয়, বাবারাও শেখান।
২ বছর বয়স থেকেই বাচ্চাকে শেখান শরীরের কয়েকটা অংশ প্রাইভেট পার্টস। একই সঙ্গে এটাও শেখান কেউ যদি তার হাত ধরতে চায়‚ বা জড়িয়ে ধরতে চায় বা চুমু খেতে চায় তার না বলার পুরো অধিকার আছে।
বাচ্চাকে বোঝান ভালোভাবে যে কেউ তার গায়ে হাত দিলে তার যদি অস্বস্তি হয় তাহলে আপনাক এসে জানাতে সাথে সাথে।
আবার বাচ্চাকে বোঝান সব টাচ ব্যাড টাচ না। অনেকেরই সময় বাচ্চার শরীরে হাত দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। যেমন বাচ্চার নিতম্বে ইনজেকশন দিতে হয় ডাক্তারকে। বাচ্চাকে বোঝান কেউ তার গায়ে হাত দিলেই তা ব্যাড টাচ নয়। একটু সময় লাগবে ওর বুঝতে। আপনিও সময় নিন।