অভিনেতা কৌশিক এভাবেই দর্শকদের মুগ্ধ করে রেখেছেন, ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ দেখে মুগ্ধ তসলিমা নাসরিন

নয়াদিল্লি: কাবেরি অন্তর্ধান দেখলেন লেখক তসলিমা নাসরিন।  ‘কাবেরী অন্তর্ধান’-এর গল্পের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে নকশাল আন্দোলনের কথা, নকশালদের কথা।’হাতিমারা’ নামে একটি জায়গা ঘিরেই কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের -এই ছবির গল্প।

কৌশিক সেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত,, অম্বরিশ ভট্টাচার্য সকলের অভিনয় প্রশংসার দাবি রাখে।

সেই কাবেরী অন্তর্ধান দেখলেন তসলিমা নাসরিন।

“আমি খুব বেছে ছবি দেখি। বেছে ছবি দেখি বলেই বাংলা বা হিন্দি ছবি আমার তেমন দেখা হয় না। কিন্তু কৌশিক গাঙ্গুলির ছবি হলে আমি রটেন টোমেটোর পারসেণ্টেজ দেখি না, বড় মিডিয়ার রিভিউ দেখি না, আমি সোজা ছবিটা দেখি।

বিশ্বের আরও কিছু পরিচালক আছেন, আমি তাঁদের নাম দেখেই ছবি দেখি। যেমন হৌ শিয়াও শিয়েন,কেন লোচ, রোমান পোলান্সকি, উডি অ্যালেন, হিরোকাজু কোরেডা, স্টানলি কুব্রিক, রিডলি স্কট, কোহেন ব্রাদার্স, আন্দ্রেই তারকোভস্কি, জঁ লুক গোদা, মাইক লী, মার্টিন স্করসেজে, আসগর ফারহাদি, স্টিভেন স্পিলবার্গ, পেদ্রো আল্মোদোভার, এরকম কয়েকজন।

জানুয়ারিতে বেরিয়েছে কাবেরী অন্তর্ধান। দেখার সুযোগ পেলাম সাড়ে তিন মাস পর। কলকাতায় আমি নেই বলেই কৌশিকের ছবিগুলো দেখতে আমার দেরি হয়। দেরি হয়, কিন্তু যে করেই হোক দেখা হয়। আজকাল বাঙালিরা বেশ থ্রিলার আর মিস্ট্রি দেখতে পছন্দ করছে, তাই ঘন ঘন তেমন ছবিই তৈরি করছেন পরিচালকেরা।

কৌশিক গাঙ্গুলির এই ছবিটিও তেমন। নকশালদের জন্য আমার সিম্প্যাথি, আমি লক্ষ্য করেছি, আছে, যদিও ভায়োলেন্সের একেবারেই বিরুদ্ধে আমি। এই ছবিতে এক নকশাল নেতার ভায়োলেন্স বেশ দেখানো হয়েছে, কিন্তু ছবির গল্পটা এত চমৎকারভাবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন চরিত্রে অভিনেতারা এত অসাধারণ অভিনয় করেছেন, কোনও পজ না দিয়ে ছবিটা দেখতে হয়েছে আমাকে।

ডিনারের সময় চলে গেছে, পজ দিইনি, জরুরি ওষুধ খাওয়ার দরকার ছিল, পজ দিইনি। পরিচালক কৌশিক, অভিনেতা কৌশিক এভাবেই দীর্ঘ বছর দর্শকদের মুগ্ধ করে রেখেছেন”।