‘টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভেল’ এর অ্যাম্বাসেডার রিমা

অসমের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক রিমা দাস একের পর এক চমক দিয়ে চলেছেন। চলতি বছরেই ‘বুলবুল কেন সিং’ ছবির জন্যে ২০১৯ এর ‘ত্রয়োদশ এশিয়ান ফিল্ম এওয়ার্ডসের’ সেরা নতুন ডিরেক্টর হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর আগামি ‘টরণ্ট ফিল্ম ফেস্টিভেলের’ অ্যাম্বাসেডার হিসেবে নিযুক্ত হতে চলেছেন সর্বজনপ্রিয় রিমা ।

‘টিআইএফএফ’ ২০১৭ সাল থেকে চলচ্চিত্র জগতে বিশেষ অগ্রণি ভুমিকা পালন করে আসছে। সিনেমা জগতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা এবং আরও নতুন নতুন বহু সুবিধা প্রদান করার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের বহুল কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কেমেরণ বেইলি ‘টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভেলের’ সহযোগি প্রধান এবং কলা নির্দেশক অতি গর্বের সাথে সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে, রিমা দাসের মতো বহুপ্রতিভাসম্পন্ন সিনেমা পরিচালককে এই মহোৎসবের অ্যাম্বাসেডার হিসেবে নিযুক্ত করতে পারার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই।

চলচ্চিত্র জগতে এখনো নারী পুরুষেকে বিভাজন করে দেখা হয়। লিংগবৈষম্যের মতো বস্তাপচা আদিকালের ভাবনাকে হ্রাস করার লক্ষ্যে ‘টরেন্টো’র পক্ষ থেকে উচ্চমানসিকতা সম্পন্ন রিমা দাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি এই দায়িত্ব সুচারুরুপে পালন করতে পারবেন। দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই কথা জানান কলা নির্দেশক কেমেরণ বেইলি। রিমা দাস নিজ প্রতিভা ও একাগ্রতার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে নিজের নাম উজ্জ্বল করেছেন। তাই তিনিই পারেন আরও গুরুদায়িত্ব নিতে। এতে কোন সন্দেহ নেই বলেন কেমেরণ।

এর আগে রিমা দাস নির্মিত অসমিয়া ছবি ‘ভিলেজ রকস্টার’ ভারত থেকে অস্কার প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। সকলেই জানেন, ‘বুলবুল কেন সিং’ও আন্তরাষ্ট্রিয় খ্যাতি লাভ করতে সমর্থ হয়।

‘টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভেলের’ অ্যাম্বাসেডার হিসেবে নিযুক্ত রিমা দাস উৎসাহ, বিশ্বাসের সাথে জানান যে, এটা জীবনের বিরাট প্রাপ্তি। চলচ্চিত্র জগৎ এমন এক জগৎ যেখান থেকে সমাজের আমূল পরিবর্তন হতে পারে। সুতরাং এই জগতে নারী-পুরুষে সমতা আনার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন তিনি।