বাংলা টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ টলিউড অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। না তিনি শুধু অভিনয় নয় বিভিন্ন চ্যানেলে উপস্থাপিকা হিসেবেও কাজ করেছেন।
প্রায় ১১টি ধারাবাহিক এবং ২০টির অধিক বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন অপরাজিতা।
না এতেই শেষ নয়, অপরাজিতা বলিউডের হিন্দি ছবি ‘মেরি প্যারি বিন্দু’তে অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এটিই তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি।
তিনি বর্তমানে ওয়েব সিরিজেও কাজ করছেন।
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া পরিচালক জুটি নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-র বাংলা ছবি ‘প্রাক্তন’-এ সেরা সহায়ক চরিত্রের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য।
স্বাধীনতা দিবসের মাহাত্ম্য কী এ ব্যাপারে কথা বললেন অপরাজিতা।
প্রথমে নিজের অভিনয় জগত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অপরাজিতা জানান, ‘আমি বরাবরই অভিনয় পিপাসু। নতুন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার খিদেটা সব সময়ই ছিল আর থাকবেও। খারাপ চরিত্রে অভিনয় করতে ভাল লাগে না। আমি চরিত্র বাছার ব্যাপারে একটু ভাবনা-চিন্তা করি’।
আর স্বাধীনতা দিবস নিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমার কাছে স্বাধীনতার মানেটা অনেক বড়। কেননা আমার দিদিমা ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। উনি মাস্টারদা সূর্য সেনের ছাত্রী ছিলেন। উনি ঢাকার প্রথম মহিলা, যিনি ম্যাট্রিকে ফার্স্ট হয়েছিলেন। স্বাধীনতা হল বিরাট বলিদান। কত মানুষের মৃত্যু, আত্মত্যাগের বিনিময়ে এসেছিল এই স্বাধীনতা। এর পিছনে দিনের পর দিন কত মানুষের অত্যাচার সহ্য করার কাহিনি রয়েছে। দিদিমারই এক বান্ধবীকে যে কী অকথ্য অত্যাচার তা শুনে কেঁদে ফেলেছিলাম। উনি একজন ইনফর্মার ছিলেন। আর তিনি ধরা পড়ে যাওয়ায় ওনার গোপনাঙ্গে দিনের পর দিন লঙ্কাবাটা ঘষে দেওয়া হত। এই একটার কথা বললাম। এমন হাজার হাজার ঘটনা রয়েছে স্বাধীনতার পিছনে। তাই স্বাধীনতা আমার কাছে একটা আবেগ। বেলুন উড়িয়ে, পায়রা উড়িয়ে, নাচ-গান করা নয়’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো চূড়ান্ত পরাধীন। অন্তত আমি তো তাই মনে করি। কারণ আমাদের কোনও বাক স্বাধীনতা নেই। একটা মানুষ স্বাধীনভাবে কোথাও কথা বলতে পারে না। না নিজের পরিবারে, না সমাজে। সুতরাং স্বাধীন কোথায় হলাম’?