বাংলাদেশের অভিনেত্রী শাবনূর তালাক দিলেন মাদকাসক্ত স্বামী অনিক মাহমুদ হূদয়কে।
নিজের সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে স্বামীকে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিগত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিককে তালাক দিয়েছেন শাবনূর।
আসলে সমাজের ওপরটা যতই চকচকে দেখানোর চেষ্টা করুক না কেন মেয়েরা অথবা পুরুষেরা, অন্তরে অন্তরে গুমরে গুমরে মরছে এক একটি পরিবার, এক একটি পরিবারের নারী।
কী রয়েছে সে তালাক নোটিশে? কী বলছেন শাবনূর? কেমন ছিল তাঁর স্বামীর চরিত্র?
তিনি বলছেন, ‘আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হূদয় সন্তান এবং আমার যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে। একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর স্বামী যে ব্যবহার করেন অনিক সেটা করছেন না, উল্টো নানাভাবে আমাকে নির্যাতন করে। এসব কারণে আমার জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। চেষ্টা করেও এসব থেকে তাকে ফেরাতে পারিনি। বরং আমার সন্তান এবং আমার ওপর নির্যাতন আরো বাড়তে থাকে। উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য মনে হয়ে তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারব না। তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।’
শাবনূর অনিকের সাথে আংটি বদল করেন ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর। বিবাহপাশে আবদ্ধ হন ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানকে নিয়ে বর্তমানে শাবনূর অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাড়ির ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়।
উত্তরার নোটিশটি ফিরে এলেও গাজীপুরের ঠিকানায় পাঠানো নোটিশ এখনো ফেরত আসেনি।
আইনগতভাবে তাদের এই তালাক কার্যকর হবে ৩ মাস পর অর্থাৎ ৯০ দিন পর।