বাংলাদেশের শিল্পী নোবেল নিজের দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে চরম অপমান করে ইতিমধ্যে সাংঘাতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন । এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে দেশদ্রোহীও বলা হচ্ছে। নোবেলের এমন আত্মদম্ভে গায়িকা ইমন চক্রবর্তী চাবুক মারতে চেয়েছেন।
কিন্তু উদীয়মান গায়ক নোবেলের আত্মদম্ভ হ্রাস পাচ্ছে না কিছুতেই।
সা-রে-গা-মা-পা’ সংগীত মঞ্চে পরাজয়ের পর এহেন নোবেল এবার অন্য দিকে মনের ঝাল মেটাতে চাইছেন।
জানালেন ডুয়েটে গান গাইতে চান না তিনি। ডুয়েট যদি একান্তই গাইতে হয়, তাহলে গাইবেন কেবল লেডি গাগা এবং জনপ্রিয় গায়িকা শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে। সা-রে-গা-মা-পা-র বিচারক মোনালি ঠাকুরের সঙ্গেও রয়েছে তাঁর গান গাইতে আপত্তি!
‘যদি লেডি গাগা হয় তাহলে তার সঙ্গে ডুয়েট গাইতে পারি। উপমহাদেশে আমার প্রিয় শ্রেয়া ঘোষাল, তার সঙ্গেও গাইতে পারি। বাংলাদেশ বা ভারতের কারও সঙ্গে ডুয়েট করব না।’
বিভিন্ন ধরনের বিধি-নিষেধের গণ্ডিতে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলছেন তিনি। এই গণ্ডি তাঁর অহংকারের গণ্ডি। মতামত এপার-ওপার বাংলার সিংহভাগ মানুষের। এমনকি নিজের ব্যান্ড দল ছাড়া অন্য সংগীত শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতেও তিনি মোটেও ইচ্ছুক নন।
‘সিনেমায় ব্যান্ডদল নিয়েই কাজ করছি’।
এমনই নোবেল! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় বয়ে চলছে তাঁর একের পর এক কটূক্তি নিয়ে। অনেকে এমনও বলেছেন,তিনি যদি গায়িকা মোনালির সঙ্গে গান না করেন, তাহলে কি মোনালি ভাত না খেতে পেয়ে প্রাণে মারা যাবেন?
নোবেলের প্রতি যে এপার বাংলার মানুষই কেবল তিতিবিরক্ত তা নয়। বাংলাদেশের জনগণও প্রচণ্ড খেপে উঠেছে তাঁর ওপর।