নয়াদিল্লিঃ Japanএ এযাবৎকালে শক্তিশালী টাইফুন নানমাদলের (super typhoon Nanmadol) কারণে প্রচণ্ড ঝড় এবং প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঝোড়ো বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারের বেশি বয়েছে। প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।
রোববার রাতে দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানে টাইফুন প্ৰবেশ করার পর বিভিন্ন জায়গায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। জাপানের বহু জায়গায় প্ৰচণ্ড ঝড় এবং মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
শত শত ফ্লাইট এবং অন্যান্য পরিবহন বাতিল করা হয়েছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই Japanএর সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে প্ৰায় ৫০ সেন্টিমিটার (২০ ইঞ্চি) বৃষ্টির পূর্বভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর। বন্যা এবং ধস হতে পারে আগে থেকেই সতর্ক বার্তা দিয়েছে প্ৰশাসন।
জাপানের কিউশু দ্বীপের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে রবিবার সকালে টাইফুন নানমাদল প্রথম আঘাত হানে। জাপানের যে চারটি প্রধান দ্বীপ, তার মধ্যে কিউশু হচ্ছে সবচেয়ে দক্ষিণে। সেখানকার জনসংখ্যা এক কোটি ৩০ লক্ষ। কর্তৃপক্ষ ওই দ্বীপের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে।
Japanএর আবহাওয়া অফিস বলছে, টাইফুনের প্রভাবে খুবই ভারী বৃষ্টি, ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস হবে। বাতাসের গতি এত বেশি হবে যে এতে ঘরবাড়ি ধসে পড়তে পারে।
ইজুমি শহরের একজন কর্মকর্তা রবিবার বিকেলে জানান, সেখানে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে খুবই দ্রুত।
মিয়াজাকি নামের স্থানে ৪হাজার ৭০০ লোককে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিউশু (Kyushu) ইলেকট্ৰিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে যে- কিউশু দ্বীপের ৯৩ হাজারেরও বেশি লোকের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ কর্তন করা হয়েছে। কিউশু (Kyushu) দ্বীপে বুলেট ট্ৰেনের চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।