কলকাতাঃ Queen Elizabeth II র মৃত্যুর পর বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ব্রিটেন। এবার স্কটল্যান্ডে জোরাল হচ্ছে স্বাধীনতার দাবি।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, কুইন Elizabeth II মৃত্যুর পর থেকেই স্কটল্যান্ডে জোরাল হচ্ছে স্বাধীনতার দাবি। ‘ইউনাইটেড কিংডম’ তথা গ্রেট ব্রিটেন থেকে আলাদা হয়ে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে স্কটল্যান্ডের জনগণের একাংশ।
এক ব্রিটিশ বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, রাজতন্ত্রের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৪৫ শতাংশ স্কটিশ জনতার। অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্র চাইছেন ৩৬ শতাংশ। ‘ইউনাইটেড কিংডম’-এর অঙ্গরাজ্য হয়ে থাকতে চাইছেন ৫১ শতাংশ।
গত বৃহস্পতিবার রানিকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে স্কটল্যান্ডের বালমোরল প্রাসাদে গিয়েছিলেন ৬৭ বছরের আর্চি নিকোল। সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে তিনি বলেন, “ব্রিটেনকে একসুতোয় বেঁধে রেখেছিলেন রানি (এলিজাবেথ দ্বিতীয়)।” নিকোলা সান্ডিল্যান্ড নামের বছর ৪৭এর শিক্ষিকার কথায়- এটা খুবই স্পষ্ট যে স্কটল্যান্ডকে অত্যন্ত সম্মান করতেন রানি। রাজপরিবারও স্কটিশ। তবে তিনি মনে করেন রানির মৃত্যুতে হয়তো স্কটল্যান্ডের প্রজাতন্ত্র হওয়ার পথ আরও সুগম হয়েছে।
বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ব্রিটেনের রাজার আসনে চার্লস বসায় পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়ে উঠেছে। প্রজাতন্ত্র ঘোষণার দাবিতে স্কটল্যান্ডে গণভোটের দাবি ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাজা চার্লস স্কটিশ বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। দেশটির জাতীয় পোশাক তাঁর পছন্দের। স্কটল্যান্ডের প্রভাবশালী অনেকেই তাঁর বন্ধু এবং অনুগত।
কিন্তু এতকিছুর পরও এলিজাবেথের ব্যক্তিত্বের সামনে তিনি খানিকটা ফিকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেল’-এ বর্ষীয়ান সাংবাদিক অ্যান্ড্রু নেল লিখেছেন, “তিনি (রানি) নেই, তাই এই জোট এখন অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন। রানির মতো স্কটল্যান্ডকে ভালবাসেন রাজা চার্লস (King Charles)। কিন্তু বাস্তবে তাঁর তেমন কর্তৃত্ব নেই।”
১৯৪৮ সালে ১৪ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম প্যালেসে জন্মগ্ৰহণ করেন চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ। দাদা রাজা ষষ্ঠ জর্জ ১৯৫২ সালে মারা যাওয়ার পর মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বসেন মসনদে। তখন থেকেই পরবর্তী উত্তরাধিকারী হিসেবে নির্ধারণ হয় প্ৰিন্স চার্লসের নাম। মাত্ৰ ৯ বছর বয়সেই চার্লসকে ‘প্ৰিন্স অব ওয়েলেস’ ঘোষণা করা হয়। বিশ্বজড়ে সবার আগ্ৰহের কেন্দ্ৰবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন আধুনিক যুগের ব্ৰিটিশ রাজা।