নয়াদিল্লিঃ নেপালে বিমান দুর্ঘটনার (Nepal Flight Crash) প্ৰায় ২৪ ঘন্টা পর ব্ল্যাক বক্স (Black box) উদ্ধার হল। সোমবার সকালে ব্ল্যাক বক্সটি (Black box) পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে বিমান দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছে নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্ৰক।
রবিবার বেলা ১১ টা নাগাদ কাঠমান্ডু (Kathmandu) থেকে পোখরাগামী (Pokhra) বিমানটি অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে আচমকাই সেতী গণ্ডকী নদীর তীরে একটি জঙ্গলের মধ্যে ভেঙে পড়ে। ঘটনায় সব যাত্ৰীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপাল সেনা। তাঁদের মধ্যে ৫ জন ভারতীয়ও রয়েছেন।
নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্ৰকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যান্ত্ৰিক ত্ৰুটির কারণেই বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। চিন নির্মিত ওই রানওয়ে পূর্ব-পশ্চিম বরাবর। প্ৰাথমিকভাবে পাইলটকে পূর্বদিকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে পাইলট নিজে পশ্চিম দিকে নামার অনুমতি চান সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় নিয়ন্ত্ৰণ হারান পাইলট। নেপালের পোখরার (Pokhra) বাসিন্দা বিষ্ণু তিওয়ারি বিমান আছড়ে পড়ার প্ৰত্যক্ষদর্শী। যাত্ৰীদের কাতর আর্তনাদ শুনেও জলন্ত বিমানে ঢুকতে পারেননি বিষ্ণু। মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার সাক্ষী বিষ্ণু তিওয়ারি।
ইয়েতি বিমান সংস্থার (Yeti Airlines) এটিএস-এর ৭২ বিমানের এক যাত্ৰী বিমান ভেঙে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তের ভিডিও করেছিলেন। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি। অন্যদিকে নেপালে পুত্ৰলাভের পর পশুপতি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন উত্তরপ্ৰদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা সোনু জয়সওয়াল। ঘরে ফেরা হল না তাঁর। দুর্ঘটনার পর রয়ে গেল অনেক প্ৰশ্ন। বিমান দুর্ঘটনার (Nepal Flight crashed) পর ভেঙে পড়ল কত মানুষের কত স্বপ্ন।