বাঙালি বুদ্ধিতে বাজিমাত! তার সঙ্গে টেক্কা দিতে আজ অবধি কেউ সক্ষম হয়নি। কথায় বলে, মাড়োয়ারির খাতা, বাঙালির মাথা।
এবার সেই মাথা কাজে লাগিয়েই আন্তর্জাতিক ‘আগা খান’ পুরস্কার জয় করে নিল ধলেশ্বরীর তীরে অবস্থিত কেরানিগঞ্জের দক্ষিণ কানারচরে সামান্য বাঁশ দিয়ে নির্মিত স্কুলটি! বৃহস্পতিবার রুশ ফেডারেশনের তাতারস্তানের রাজধানী কাজানে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেছে।
কিভাবে কি হল! সচরাচর দেখতে পাওয়া বাঁশ দিয়ে নির্মিত বিদ্যালয়ে কি এমন রয়েছে যা স্থানীয় বা জাতীয় নয়, একেবারে আন্তর্জাতিক পুরস্কার ছিনিয়ে এনে বাঙালির গৌরব আরো বাড়িয়ে দিল!
জানা গেছে, আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার ২০১৯-এ সংক্ষিপ্ত তালিকায় মোট ২০টি প্রজেক্ট ছিল। এর মধ্যে দুটি ছিল বাংলাদেশের প্রকল্প।
আর্কেডিয়া এডুকেশন প্রজেক্টের অধীনে বাংলাদেশের পুরস্কারপ্রাপ্ত বিদ্যালয়টি একটি ‘উভচর’ কাঠামোর স্কুল।
‘উভচর’ কারণ, স্কুলের এলাকাটি বছরের অধিকাংশ সময় জলে টইটুম্বুর হয়ে থাকে। আশ্চর্যের বিষয় হল যখন বন্যা হয়, তখন বিদ্যালয়টি অনায়াসের জলের উপর ভেসে থাকে।
জলের পরিমাণ যখন হ্রাস পায়, সে সময় আপনা আপনি ড্রাম, বাঁশ, দড়ি দিয়ে নির্মিত বিদ্যালয়টি দাঁড়িয়ে যায় মাটিতে।
আর্কেডিয়া এডুকেশন প্রকল্পটির আবিষ্কারকের নাম সাইফ উল হক।
১৯৭৭ সাল থেকে শুরু করা আগা খান অ্যাওয়ার্ড অত্যন্ত প্রাচীন এবং সম্মানজনক পুরস্কার। যা ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পেয়ে তার নিজস্ব স্থান প্রমাণ করে দিল।