নয়াদিল্লিঃ বিধ্বংসী ভূমিকম্পে তুরস্ক(Turkey) এবং সিরিয়ায়(Syria) এখনও পর্যন্ত ১৮০০রও বেশি প্ৰাণ কেড়েছে। আহত হয়েছেন আরও অসংখ্য মানুষ। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। এসব মানুষের বেশির ভাগই ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ভূমিকম্পে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীদের অভিযান চলছে। তার মাঝেই ভারত চিকিৎসা সহায়তা এবং ত্রাণ সামগ্রী সমেত অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারীর দল সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্ৰকাশ করেছেন। ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত দেশগুলোকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিন সাউথ ব্লকের PMOতে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ডক্টর পিকে মিশ্রের (Principal Secretary of the Prime Minister Dr. PK Mishra) সভাপতিত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সাহায্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
PMO একটি প্ৰেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- NDRF-এর দুটি দল বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত স্কোয়াড ডগ (Trained dog squads) এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম (Necessary equipment) সমেত ১০০ জন কর্মী নিয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের জন্য ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় উড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধের সাথে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক এবং প্যারামেডিকেলের পাশাপাশি একটি মেডিকেল টিমও(Medical Team) প্রস্তুত করা হয়েছে।
PMO থেকে জানানো হয়েছে- ত্রাণ সামগ্রীগুলি তুরস্কের প্রজাতন্ত্রের সরকার এবং আঙ্কারায় ভারতীয় দূতাবাস এবং ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেট জেনারেল অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাঠানো হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুক। ভারত তুরস্কের জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে এবং এই ট্র্যাজেডি মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার মধ্য তুরস্ক (Turkey) এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় (North-West Syria) ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে (Earthquake) ১৮০০ জনেরও বেশি মানুষ প্ৰাণ হারিয়েছেন। দেড় শতাধিক বিল্ডিং ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের তুলে আনতে উদ্ধার অভিযান তরিৎ গতিতে চলছে। শীতের ভোরে ভূমিকম্প সাইপ্রাস এবং লেবাননেও অনুভূত হয়।
প্রথম ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল গাজিয়ানেপ প্ৰদেশের নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরে। দ্বিতীয় কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে উৎপত্তিস্থল মধ্য তুরস্কের ৯.৯ কিলোমিটার গভীরে।
বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর তুরস্কের প্ৰশাসন “লেভেল ফোর অ্যালার্ম” (Level 4 alarm) ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে(Calls for international assistance)।