গুয়াহাটিঃ মিশরের (Egypt) একটি প্ৰাচীন সমাধিক্ষেত্ৰ থেকে সোনায় মোড়া কফিনের ভেতর একটি মানব মমি উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয়েছে যে মমিটি তার নাম হেকাসেপস(Hekashepes)। কফিনটি গত ৪হাডার ৩০০ বছর পর এই প্ৰথম খোলা হয়েছে। BBC-তে এই খবর প্ৰকাশ হয়েছে।
মমিটি এ পর্যন্ত মিশরের রাজ পরিবারের বাইরে পাওয়া মমিগুলোর (Mummy) মধ্যে সবচেয়ে পুরনো এবং পরিপূর্ণ।
মমি যে কফিনে রাখা হয়েছে সেটি কায়রোর সাকারা (South of Cairo, Saqqara) সমাধিক্ষেত্ৰের একটিতে পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার প্ৰাচীন সমাধিক্ষেত্ৰে আরও ৩টি কবরে মমি (Mummy) পাওয়া গেছে। এই প্ৰাচীন সমাধিক্ষেত্ৰে (Burial site) উদ্ধার হওয়া সবচেয়ে বড় আকারের মমিটি হচ্ছে খুনুমদজেদেব (Khnumdjedef) নামের এক যাজকের (Priest)।
মেরী(Meri) নামের আরও একজন ব্যক্তির মমি উদ্ধার হয়েছে। তিনি রাজকীয় প্ৰাসাদের একজন বয়োজেষ্ঠ্য আধিকারিক ছিলেন। তাঁর উপাধি ছিল ‘সিক্ৰেট কিপার’(Secret Keeper)। এই উপাধির জন্য তিনি বিশেষ ধর্মীয় রীতি-নীতিগুলো (Special religious rituals) পরিচালনা করতে পেরেছিলেন।
অনুমান করা হচ্ছে, অন্য আরেক কবরে ফেটেক নামের একজন বিচারক এবং লেখককে সমাধিস্থ করা হয়েছে। কবরে একটি ভাস্কর্যও পাওয়া গেছে। ভাস্কর্যটি সমাধিক্ষেত্ৰে (Burial Site) পাওয়া সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য বলে অনুমান করা হচ্ছে। কবরগুলোতে মাটির পাত্ৰ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্ৰী পাওয়া গেছে।
ইজিপ্টের আর্কিওলজি বিভাগের প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী এবং পুরাতত্ত্ববিদ জাহি হওয়াস (Archaeologist Zahi Hawass, Egypt’s former antiquities minister) বলেছেন- যে উদ্ধারকৃত সামগ্ৰীগুলো খিস্টপূর্ব ২৫ শতক থেকে শুরু করে খ্ৰিস্টপূর্ব ২২ শতকেরও পুরনো। সাকার হচ্ছে ৩০০ বছরেরও পুরনো এক সমাধিক্ষেত্ৰ। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্ৰ হিসেবে স্বীকৃত এই কবরস্থানটি এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বহু বছর ধরে মিশের পর্যটন ক্ষেত্ৰকে পুরুজ্জীবিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেদেশের প্ৰশাসন। এরই অংশ হিসেবে সাম্প্ৰতিক বছরগুলোতে বড় বড় আর্কিওলজির এই আবিষ্কারগুলো হচ্ছে।
গ্ৰ্যান্ড ইজিপ্টিয়ান মিউজিয়াম এবছর উন্মোচন হবে। সংগ্ৰহালয়টি আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে ৩ কোটি পর্যটককে আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদী মিশর সরকার(Egypt’s Government)।