নয়াদিল্লিঃ অবৈধ তহবিল মামলায় পাকিস্তানের প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী Imran Khan-এর বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দুবার নোটিস পাঠানোর পরও সেদেশের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ’র কাছে হাজিরা দেননি তিনি। ফলে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমে তেমনই দাবি করছে ।
গত শুক্ৰবার তদন্তকারী সংস্থা দ্বিতীয় বার নোটিস পাঠিয়েছে। তার আগে গত ১০ আগস্ট প্ৰথব নোটিস পাঠিয়েছিল। কিন্তু তিনি দুটো নোটিসই উপেক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে পাক তদন্তকারী সংস্থা।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, এই ভাবে একের পর এক নোটিস উপেক্ষা করে Former Pakistan PM নিজের বিপদ বাড়াচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, তৃতীয় নোটিসটিও যদি Imran Khan এড়িয়ে যান, তাহলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এই পরিস্থিতিতে পালটা আক্রমণের পথই বেছে নিচ্ছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। ইমরান গত বুধবার পাল্টা এফআইএ’কে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি জানিয়ে দেন- তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা নোটিস ফিরিয়ে না নিলে তিনি আইনি পদক্ষেপ করবেন।
এদিকে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইমরানের ভাষণের ‘লাইভ’ সম্প্রচার। সেদেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, একমাত্র Imran Khan-এর বক্তৃতার রেকর্ড দেখানো যাবে। যাতে ভাষণটি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনমতো সম্পাদনা করা যেতে পারে। পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি বা PEMRA’র তরফে এব্যাপারে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বর্তমানের শেহবাজ শেরিফ সরকারকে নানাভাবে আক্রমণ করছেন Imran Khan। মূলত Imran Khan-এর সহযোগী শাহবাজ গিলকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সুর চড়াতে শুরু করেছেন Imran Khan। এবার সেই ইমরানের বক্তব্য সম্প্রচারেই নিষেধাজ্ঞা জারি করল পাকিস্তান।
সব মিলিয়ে কুরসি হারিয়ে পাকিস্তানে ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছেন প্ৰাক্তন পাক ক্ৰিকেটার ইমরান খান।