গুয়াহাটিঃ মিসাইল ছুঁড়ে চিনের (China) ‘নজরদারি’ (Suspected spy balloon) বেলুন ফাটাল আমেরিকা (US)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ৰের এহেন আচরণে চটেছে চিন(China)। রবিবার সকালে রীতিমতো বিবৃতি জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেজিং। চিনের (China) বিদেশমন্ত্রকের দাবি, বাড়াবাড়ি করেছে আমেরিকা। আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে চিনও(China)। আমেরিকান সেনা বাহিনী (US military Force) সন্দেহভাজন ওই বেলুনের ধ্বংসাবশেষের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
গত কয়েক দিন ধরে উত্তর আমেরিকার (North America air space) আকাশে উড়ছিল চিনের সন্দেহভাজন একটি বেলুন। পেন্টাগনের অভিযোগ ছিল, আমেরিকার সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্রের উপর নজরদারি চালাচ্ছে বেজিং। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে চিন। চিনের দাবি, নজরদারি নয়, আবহাওয়া ও বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহের জন্য বেলুন ওড়ানো হয়েছিল। হাওয়ার গতির সঙ্গে পথ পরিবর্তন করে আমেরিকার আকাশে ঢুকে পড়ে বেলুনটি। এর জন্য় চিনের তরফে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়। ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা না ঘটে তার দিকে নজর রাখা হবে।
মার্কিন এফ-২২ বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে চিনা (Chinese Balloon) বেলুনটিকে নষ্ট করা হয়। দক্ষিণ ক্যারোলিনা উপকূলের কাছে আটলান্টিক সমুদ্রে পড়ে যায় বেলুনটি। পেন্টাগন সূত্রে খবর, সমুদ্রের খুব গভীরে পড়েনি বেলুনটি। সেটিকে উদ্ধার করার কাজ চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেলুন ফাটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তাঁরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। এই মিশন শেষ হতেই আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, “চিন আমাদের সার্বভৌমত্ব নষ্টের চেষ্টা করেছে। তাই আমাদের পদক্ষেপ আইনসম্মত।” সেই যুক্তি অস্বীকার করেছে চিন(China)।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন- শত্ৰু দেশের ওপর বেলুনের নজর রাখার ব্যবস্থা দীর্ঘ আগের। একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে এভাবেই বেলুনকে গুপ্তচর করে পাঠায় বিভিন্ন দেশ। তবে প্ৰযুক্তি বদলে গিয়েছে। বেলুনে থাকে নজরদারি চালানোর ক্যামেরা, রেডার, সেন্সর। থাকে যোগাযোগ করার যন্ত্ৰও। নজরদারি বেলুনটিকে ছোটখাটো বিমান বললেও ভুল হবে না।