নানা অনুষ্ঠানিকতায় জাতীয় বীর যুবাদের বরণ করে নিল বাংলাদেশ। ফুলেল শুভেচ্ছা, কেক কেটে, আতজবাতির ঝলকানি, গ্যালারিতে গর্জন ও লাল গালিচা অভ্যর্থনায় তাদের বরণ করে নেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি সভাপতি নামজুল হাসান পাপন এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ বিসিবির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে ছিল আলাদা উচ্ছ্বাস। বিমান বন্দরে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে বিজয়ীদের বরণ করেন ভক্তরা। কেউ টাইগার সাজে কেউ লাল-সবুজের জার্সি পরে আসেন তাদের পেছনে পেছনে। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। এ সময় হাজার হাজার মানুষ ব্যানার, ফেস্টুন, জার্সি ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিশ্বজয়ী বীরদের বরণ করে নিতে অপেক্ষা করে। ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমছিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনের। হুড়মুড়িয়ে ক্রিকেট দর্শকরা প্রবেশ করে স্টেডিয়াম চত্বরে। এ সময় অন্তত আড়াই থেকে তিনশ’ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাও প্রবেশ করে স্টেডিয়ামের মূল চত্বরে। এরপর দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হয় স্টেডিয়ামে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড গ্যালারির গেট। দর্শকরা সবাই বিশ্বজয়ী বীরদের বরণের জন্য চলে যায় গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে।
বিসিবি কার্যালয় থেকে স্টেডিয়ামে নেমে আসার পথে আগে থেকেই বিছানো ছিল লাল গালিচা। আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষে যে জায়গায় পুরস্কার বিতরণ করা হয়, সেখানে রাখা ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন’ লেখা ব্যাকড্রপ। যার ঠিক সামনেই টেবিলে সাজানো ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ লেখা কেক। আকবর আলিরা লাল গালিচা দিয়ে সেই জায়গায় পৌঁছার পর আনা হয় বিশ্বকাপের ট্রফিটি। এরপর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আর বাংলাদেশ যুব দলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলি একসঙ্গে ট্রফি উঁচিয়ে অংশ নেন ফটোসেশনে। দুই কেকের মাঝখানে রাখা হয় ট্রফিটি। তারপরই কেক কেটে উদযাপন। কনফেত্তি আর আলোর ঝলকানিতে উৎসবমুখর এক পরিবেশ শেরেবাংলায়।
উল্লেখ, বাংলাদেশ ২০০৪ এবং ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করলেও সেবার পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিরোপা জিতে নিয়ে যায়। এবার বাংলাদেশ যুবারা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরলেন বিশ্বকাপ নিয়ে।