রক্ষকই যখন ভক্ষক হয়, তখন পৃথিবীতে বলার মতো শব্দগুলো হারিয়ে যায় ।
দিনাজপুর উপজেলায় স্বয়ং বন বিভাগের কর্মীর গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল চোরাই কাঠ । এবং চোরাই কাঠসহ গাড়ি আটক করে আবার স্থানীয় মানুষ ! তাঁরাই সমস্ত তুলে দেয় পুলিশের হাতে !
কি আশ্চর্য !
সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে রামসাগর জাতীয় উদ্যান থেকে পাচারের সময় বন বিভাগের কাঠসহ গাড়ি আটক করে পুলিশের হাতে সমর্পন করে এলাকাবাসী। এমন ধিক্কারজনক ঘটনায় জড়িত রয়েছেন খোদ রামসাগরের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস সালাম তুহিন ।
জানিয়েছেন আটক গাড়ির চালক মো. কোরবান আলী । চালককে দিয়ে এর আগেও এমন অবৈধ কাজ করিয়েছেন ঐ তত্ত্বাবধায়ক । অবশ্য, তিনি এই ঘটনাকে একটি সাজানো ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন আব্দুস ।
চালক স্বীকার করেন, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি পিকআপে করে ঘাস নিয়ে রামসাগরে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে, রামসাগরের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস সালাম তুহিনের কথায় তিনি কাঠগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেন ।
এছাড়া তিনি আরো জানিয়েছেন, তাঁকে রীতিমত ব্ল্যাকমেল করতেন সেই তত্ত্বাবধায়ক । অর্থাৎ চাকরির ভয় দেখিয়ে গাছ পাচার করতে বাধ্য করা হত ।
পাচারের ঘটনায় স্থানীয় মানুষেরও অভিযোগ, আব্দুস সালাম বহুদিন ধরে মুনাফার লোভে এই কার্যের সাথে জড়িত ।
সমস্ত ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে তারপর আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানিয়েছেন, বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান ।
উল্লেখ্য, গতকাল সহকারী বন সংরক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামি তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।