করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পথে-ঘাটে। কর্মব্যস্ত দিন হলেও প্রয়োজন ছাড়া পথে নামছেন না নগরবাসী। যাত্রী না পাওয়ায় নগরীতে গণপরিবহনের সংখ্যাও কমে গেছে। এতে দিনের বেলাও রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলো মোটামুটি ফাঁকাই থাকছে। চিরাচরিত যানজটের নগরী ঢাকার চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। গত দুইদিন বায়ুমান সূচকে ঢাকার অবস্থান শীর্ষ ১০-এর নিচে। অথচ করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার আগে বায়ুদূষণের সূচকে শীর্ষ ছিল ঢাকা।
এছাড়াও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে এয়ারলাইনসগুলোর রুট। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। ফ্লাইট শিডিউল কাটছাঁট ও ওমরাহ হজ বন্ধ হওয়ায় বিপুল ক্ষতি গুনতে হবে বিমানকে। একই দশা বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোরও। মধ্যপ্রাচ্যের কাতার, সৌদি আরব ও কুয়েত করোনাভাইরাসের কারণে বিমান চলাচল স্থগিত রাখায় এই রুটে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে, দেশি সব বিমান সংস্থার। কলকাতা, দিল্লি চেন্নাই রুটও বন্ধ।
এদিকে, করোনা আতঙ্কে ঢাকার স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কোনো নির্দেশ না থাকায় শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে স্কুলগুলোতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। এসেম্বলির সময় ও ক্লাসে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে নিয়মিত সচেতন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা। এছাড়া শিক্ষার্থী উপস্থিতির কথা বিবেচনা না করে, কীভাবে পরীক্ষা নেয়া যায় সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
অপরদিকে, করোনা আতঙ্কে ক্রেতা সংকটে পড়েছে ঢাকার বিপনী বিতানগুলো। অতি প্রয়োজন ছাড়া বিপনীবিতানে যাচ্ছেন না ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। এতে বেচাকেনা কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। আটকে গেছে ব্যবসায়ীদের বিপুল বিনিয়োগ। ক্রমাগত লোকসানে দোকান ভাড়া দিতে পারছেন না অনেকেই। করোনায় বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব।
সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নেয়া হয়েছে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা। বিপনী বিতান কিংবা জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের। এতে কিছুটা ছন্দপতন হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়।