“বিএনপি আদালতের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির বিক্ষোভ সরকারের বিরুদ্ধে নয়, আদালতের বিরুদ্ধে। এই দল সরকার এবং বিচার বিভাগকে গুলিয়ে ফেলেছে।”
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভকারী প্রধান বিরোধি দলের কাজকর্মের নিন্দা জানিয়ে শনিবার একথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের।
তিনি আরো বলেন, “রায় পক্ষে এলেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আছে, অন্যদিকে বিপক্ষে গেলেই সরকার প্রভাবিত করছে বলেই বিএনপি মিথ্যা অভিযোগ করে।”
শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, দুনীর্তিকারী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রধান বিরোধি দল বিএনপি উতরে উঠেছে বাংলাদেশে।
বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টায় নগরীর হাটখোলা রোডের এ. করিম আইডিয়াল কলেজ প্রাঙ্গনে প্রতিবাদী কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
মহানগর সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চেয়ারপার্সন খালেদার পক্ষে ভাষণ দেন মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া, সহ-সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিনসহ অনেকে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালত ২৭ ফেব্রুয়ারি খারিজ করার পর বিএনপির বিরাট ক্ষোভ!
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। পরে একই বছরে তাঁকে আরও একটি দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সমাবেশ শেষ করে এদিন আবার বিক্ষোভ; প্রতিবাদী মিছিল বের করতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়ে আর এগোতে সাহস পায়নি এরা।
এদিকে বেগম খালেদার মুক্তির দাবিতে বগুড়া জেলা বিএনপিও বিক্ষোভ কার্যসূচি গ্রহণ করে এদিনই।
নবাব বাড়ি রোডস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী কাদের আরো জানিয়েছেন, “বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে মন্ত্রী-এমপিদেরও শুদ্ধি অভিযানের আওতায় আনা হবে। ছাড় দেয়া হবে না কাউকেই। তাঁরা প্রত্যেকে কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।”
দেশের উন্নতির জন্যে যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সেখানে কোন দুর্নীতিকারির ছাড় নেই। বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রেখে এদিন মন্ত্রী আবারো উল্লেখ করেন যে, মুজিব বর্ষে দেশের প্রত্যেক ঘরে আলো জ্বলবে। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে বিদ্যুৎ।
এদিকে সম্প্রতী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো একবার জাগিয়ে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যে মশারা কোনভাবেই যেন ভোট না খেয়ে ফেলে। কারণ মশা অনেক শক্তিশালী হয় বটে। যদিও সেটা দেখার বিষয়।