ঢাকা: বাংলাদেশে (bangladesh) আসন্ন দুর্গাপূজা (durga puja) কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পূজা (durga puja);কেন্দ্র করে দুই ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। একটি হলো-জঙ্গি হামলার, আরেকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করা।
এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কাজ করছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী (dhakeswari) জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে, ভুয়া একাউন্ট খুলে সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেওয়ার একটি প্রবণতা সবসময়ই থাকে।
গত বছর কুমিল্লার একটি মন্দিরে কোরআন শরিফ রাখা নিয়ে যে ঘটনা ঘটলো, সে ধরনের অপচেষ্টা এ বছরও থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মাস খানেক আগে থেকে আমরা এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, প্রায় ৫০ জন ছেলে তাদের বাড়িঘর ত্যাগ করেছেন।
তারা কোথায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তা নিয়ে আমরা কাজ করছি ও অনেক দূর এগিয়েছি। আশা করি, ফিল্ড অপারেশনে আসার আগেই তাদের ধরতে পারবো।
এবার বাংলাদেশে (bangladesh) ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা (durga puja)। গত বছর ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে পূজা (durga puja) উদযাপন করা হয়।
সে হিসাবে এবার পূজামণ্ডপের (durga puja) সংখ্যা বেড়েছে ৫০টি। শুধুমাত্র ঢাকায় এবার ২৪১টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব (durga puja), যা গত বছরের থেকে ৬টি বেশি। গত বছর ঢাকা মহানগরে ২৩৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছিল।
রাজধানীর ১৪১টি পূজামণ্ডপে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছে।
কোন ধরণের জঙ্গি হামলার তথ্য পেলেই সাথে সাথে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওইসব অপধারীদের গ্রেফতার করা হবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
প্রত্যেক মন্দিরে বসানো হয়েয়েছে সিসিটিভি ও নিজেস্ব নিরাপত্তা কর্মী। সব সময় সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করার হচ্ছে। যেকোন ধরনের ঘটনা ঘটলেই অপরাধীকে গ্রেফতার করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।