ঢাকা: ফের অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে এক চিনা নাগরিককে Bangladeshর ঢাকার একটি আদালত ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় দি সিনফা নিটার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান চিনা নাগরিক ইয়াং ওয়াং চুংসহ ছয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার সকালে dhaka র বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দি সিনফা নিটার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান চিনা নাগরিক ইয়াং ওয়াং চুং এবং পরিচালক খসরু আল রহমানকে ১৩ বছর, দি সিনফা নিটার্স লিমিটেডের পরিচালক মনসরুল হক ও মো. গোলাম মোস্তফার ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তারা সবাই পলাতক আছেন। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকের দিলকুশা শাখার তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এক্সপোর্ট) আব্দুল ওয়াদুদ খান ও তৎকালীন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চৌধুরীর ছয় বছরের কারাদণ্ড পাশাপাশি পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ২৬ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ১৬ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন বিচারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে একটি জাল দলিল তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যাংকে বন্ধক রাখেন।
দীর্ঘদিন ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার নিশ্চয়তা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। এরপর ব্যাংকের দায়দেনা বাবদ দুই কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা পরিশোধ না করে গা-ঢাকা দেন।
যাতে ব্যাংক জাল-জালিয়াতির কাগজপত্র দিয়ে গ্রহণকৃত বন্ধকি (মর্টগেজড) জমি বিক্রি করে তাদের টাকা উদ্ধার করতে না পারে। তাদেরও কোনো হদিস করতে না পারে। আর এর ফলে প্রকৃত জমির মালিকও হয়রানির শিকার হন।
এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি dhaka র মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। একই আধিকারীক মামলাটি তদন্ত করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৪ জুন চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। বিচার চলাকালীন ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এর আগে প্রতারণা করে ৫০ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে চিনের চার নাগরিককে গ্রেপ্তার করে ঢাকার উত্তর-পশ্চিম থানার পুলিশ।
পাকড়াও করা হয় জিয়া উন (৪২), লিউ জিয়ানউ (৪৩), ইয়ান লিউ জুন (৩৯) এবং লি মিনকে (৩২)। এরা মূলতঃ ঢাকার উত্তরায় হোটেল ব্যবসার আড়ালে Bangladeshi কম মূলে চিনা পণ্য আনার প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাত করে।
কিন্তু পণ্য সরবরাহ না করায় টাকা ফেরত চাইলে টালবাহনা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। আদায় করতে না পেরে ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নেন।
এছাড়া chottogram বিমানবন্দরে ২৪টি স্বর্ণের বারসহ আটক চিনা নাগরিক ফ্যান রংগুইকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেল দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৮ মে দুবাই থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিজি-১৪৮ ফ্লাইটের যাত্রী চিনা নাগরিক ফ্যান রংগুইয়ের কাছ থেকে ২৪টি স্বর্ণের বার জব্দ করে কাস্টমস।
এ সময় ব্যাগে করে চার্জার লাইটের ভেতর লুকিয়ে বারগুলো নিয়ে আসছিলেন রংগুই। পরে জব্দ স্বর্ণের তৎকালীন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।