করোনা সংকটের মাঝেই ভয়ংকর আমফান তছনছ করে দিয়েছে ভারত-বাংলাদেশকে। এর মাঝে অমানবিকতার চিত্রগুলো আরো পীড়া দিয়ে যায়।
বাংলাদেশ নাটোরের বড়াইগ্রামে আমফানের তাণ্ডবে মাটিতে আছড়ে পড়া শতাধিক শামুকখোল পাখি ধরে ভুরিভোজ সেরেছে স্থানীয় লোকেরা!
বৃহস্পতিবার, ২১ মে’ ভোরবেলা বাজিতপুর গ্রামে মর্মান্তিক ঘটনাটি সংঘটিত হয়।
ভয়ংকর বাতাসের গতিবেগে নিজেদের সামলাতে না পেরে মাটিতে আছড়ে আছড়ে পড়তে থাকে অসহায় পাখিগুলো! এমন বিপজ্জনক-অবলা পাখিগুলোকে আশ্রয় কিংবা খাবার দেয়ার পরিবর্তে রান্না করে খাওয়ার এই ঘটনা বিমর্ষ করে তুলেছে পাখিপ্রেমী তথা মানববাদীদের।
গ্রামেরই বটতলা মোড়ের ৩টি শিমুল গাছে থাকতো শতাধিক শামুকখোল পাখি। এর আগেও কিছু লোভী মানুষ শামুকখোল পাখিগুলো শিকার করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন, কিন্তু কিছু হৃদয়বান মানুষের তৎপরতায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি তাঁদের।
এবার যেই না প্রবল ঝড়ে অসহায় পাখিগুলো টপটপ করে পড়েছে, ওমনি সমাজের সুযোগসন্ধানীরা পাখিগুলোকে নিয়ে কেটে পরিষ্কার করে তপ্ত উনুনে চড়িয়েছে! খবর পেয়েই পাখিপ্রেমীরা দৌড়ে গিয়েছিলেন জীবগুলোকে উদ্ধার করার জন্যে,কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
ঢাকা বার্ড ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেছেন কেউ কেউ এই ঘটনার। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গেছে মর্মান্তিক এই ঘটনার প্রতিবাদে।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, বাজিতপুরে গ্রামে অতিথি পাখি শামুকখোল থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। এ রকম ঘটনা যেন দ্বিতীয়বার না ঘটে সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।