বাংলাদেশের ঢাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির লাগাম টানতে এবার এলাকাভিত্তিক রেড জোনগুলো লকডাউন করে করে দিয়েছে পুলিশ। ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বিচারে রেড জোন, ইয়েলো জোন এবং গ্রিন জোনে চিহ্নিত করা হয়েছে। রেড জোন হিসেবে শুরুতে পুরান ঢাকার ওয়ারি ও ধানমন্ডির রাজাবাজার এলাকা পরীক্ষামূলক রোববার লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ। ওয়ারি ও রাজাবাজার এলাকায় শনিবার পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। ওয়ারি ও রাজাবাজার রেড জোনে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ও জনসাধারণের চলাচল রোধে জনসাধারণের প্রবেশ ও বহির্গমন বন্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিচ্ছে না পুলিশ। চিহ্নিত এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারি সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষ যাতে সহজে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব এলাকায় করোনা আক্রান্তদের বাসায় আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কারও অবস্থা খারাপ হলে তাদের হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
গত ৮ই মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এরপর সরকার ২৬শে মার্চ থেকে সারা বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। দীর্ঘ ৬৬ দিনের এই ছুটি শেষে আবারও সরকারি-আধা সরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়েছে। চালু হয়েছে ট্রেন, লঞ্চসহ গণপরিবহন।
উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেই সবকিছু খুলে দেয়ায় পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। এই অবস্থায় কঠোর লকডাউন বা কারফিউ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। তারই পরিপেক্ষিতে ঢাকায় রেড জোনগুলোতে লকডাউন দেয়া শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে ঢাকার প্রত্যেক রেড জোনগুলোতে একইভাবে লকডাউন দেয়া হবে।