ধর্ষণকারী ইমাম ! মাদ্রাসার শিক্ষক ও একইসঙ্গে মসজিদের ইমাম দীর্ঘদিন ধরে নারী এবং শিশু ধর্ষণ করছেন জিনের ভয় দেখিয়ে । শুধু তাই নয়, ধর্ষণ ও বলাৎকারের সেই দৃশ্য মুঠোফোনে বন্দি করেও রাখতেন ।
অত্যাচারী শিক্ষকের নাম ইদ্রিস আহম্মেদ ।
ইমামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে গত রবিবার ঢাকার দক্ষিণখানের একটি মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আহমেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
১-২ বছরের অভিজ্ঞতা নয়। দীর্ঘ ১৮ বছরের ধরে মসজিদে ইমামতি করছেন তিনি । ধর্মগ্রন্থ কোরান পাঠ করে এই হল তার পরিণতি !
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই ইমাম এলাকায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে সকলকে দমন করে রাখতেন । তবে ইমামকে যথেষ্ট বিশ্বাসও করতেন মানুষ । করবেন নাই বা কেন ? যিনি নিয়মিত কোরান পাঠ করেন, ধর্মের কথা বলেন, জীবনে উন্নতির কথা বলেন, তিনি আর যাই হোন । বলাৎকারি হবেন না । এইটুকু তো বিশ্বাস আছেই জনগণের ।
জনগণের সরল মনের সরল প্রশ্ন, ‘আমরা না হয় অজ্ঞ । লেখাপড়া জানি না । কিন্তু নিয়মিত কোরান পাঠ করে,ধর্মের সার মর্ম জেনে একজন মানুষ কিভাবে এত নীচে নামতে পারে ‘?
কিন্তু মানুষের সমস্ত বিশ্বাস ভঙ্গ করে বকধার্মিক ইমাম মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতে আসা ১০/১২ বছরের প্রায় ১২ জন শিশুকে তিনি বারবার বলাৎকার করেছেন।
শুধু যে ইমামের ধর্ষণের শিকার ছোট শিশুরাই তা নয়, তাঁর কাছে জিন আছে, সেই জিন দিয়ে রোগ সারানো হয় । এই মেকি সংবাদ প্রচার করেন ।
কুসংস্কারি কিছু মানুষ তাঁর কাছে রোগ সারবে, এই আস্থা নিয়ে যেতেন । আর এই সুযোগে চিকিৎসার জন্য আসা মহিলাদের জিনের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতেন এই ইমাম।
ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি এতদিন । একবার হেনস্থার শিকার হবার পর আর কেউ তাঁর কাছে যেতে চাইত না । কিন্তু চরিত্রহীন ইদ্রিস, জিন তাঁদের ক্ষতি করবে এই ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণ করতেন ।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেছেন, গ্রেপ্তারের পর সমস্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ভেকধারী ইমাম।