‘তোমার প্রকাশ হোক কুহেলিকা করি উদ্ঘাটন/সূর্যের মতন।/রিক্ততার বক্ষ ভেদি আপনারে করো উন্মোচন।/উদয়দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে/মোর চিত্তমাঝে/চির-নূতনেরে দিল ডাক/পঁচিশে বৈশাখ।’
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘হে নূতন’ গানে চির নতুনের মধ্যে দিয়ে তার নিজের পৃথিবীকে আগমনের শুভক্ষণকে তুলে ধরেছিলেন। আজ পঁচিশে বৈশাখ।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জয়ন্তী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বাঙালির আবেগ অপরিসীম। তবে এ বার তাঁর জন্মজয়ন্তী পড়ে গিয়েছে লকডাউনের মাঝে। তবে এতে এতটুকুও দমে না-গিয়ে শুরু হয়েছে অনলাইনে উদ্যাপন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারে বাংলাদেশে ২৫ বৈশাখের অনুষ্ঠান হবে না। লকডাউনের নিয়ম মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাঙলির মানসপটে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সদাই বিরাজমান। তিনি বাঙলির অহংকার। বাঙালির জীবনের যত ভাবনা, বৈচিত্র্য আছে, তার পুরোটাই লেখনী, সুর আর কাব্যে তুলে ধরেছেন কবিগুরু। তার সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, জীবনদর্শন, মানবতা, ভাবনা-সবকিছুই সত্যিকারের বাঙালি হতে অনুপ্রেরণা দেয়। কবিগুরুর ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।