ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৭ মার্চ যাচ্ছেন না বাংলাদেশ। বাতিল হয়ে গেল তাঁর ভ্রমণ কার্যসূচি।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে আগামি ১৭ মার্চ মোদির বাংলাদেশ ভ্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
এই সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার কথা ছিল।
কিন্তু সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ ভ্রমণ বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তিনজনের শরীরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
রবিবার (৮ মার্চ) এ দুঃসংবাদ দিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশেও তিন জন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগী শনাক্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত এই তিন ব্যক্তির মধ্যে দুজন ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে দুজন পুরুষ, অপরজন নারী।
এমন আতংকজনক অবস্থায় বাতিল হলো ভারতের বন্ধুপ্রতিম দেশে মোদির গমন।
উল্লেখযোগ্য যে, বিভিন্ন মহল থেকে এবার হেফাজত ইসলামি এবং ভিপি নুরুলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ শোনা যাচ্ছে।
কারণ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনভাবেই বাংলাদেশে আসতে দেয়া যাবেনা বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন বিভিন্নকারণ আলোচিত-বিতর্কিত সংগঠন হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ। যদি ১৭মার্চ মোদির আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে আল্লামা শফী হুজুরের নেতৃত্বে সারাদেশ থেকে জমায়েত হয়ে লংমার্চ করে বিমান বন্দর ঘেরাও করা হবে বলে ঘোষণা করে হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দিন রুহী।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আত্মিক সম্পর্ক। এমন প্রতিবাদি কার্য মোদিকে ঠেকাতে পারতো না অবশ্যই। জানাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এছাড়া, মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, সে ভারতের প্রতিনিধিকে বাংলাদেশের মুজিব বর্ষে আমন্ত্রণ জানানো হবে না, একথা চিন্তাও করা যায় না।