ঢাকা: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলরত মৈত্রী এক্সপ্রেস Maitree express, বন্ধন এক্সপ্রেস bandhan express ও মিতালী এক্সপ্রেসের Mitali express যাত্রী বেড়েছে কয়েক গুণ। এতে করে দুই দেশের সরকারের রাজস্ব বেড়েছে।
প্রতিদিন ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। টিকেট কিনতে ভিড় জমাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকরা।
বাংলাদেশ ও ভারত এক মেলবন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক কোনো রূপায়িত ব্যাপার নয় বরং এটি জন্মগত। চারদিকে জলাধারে পরিপূর্ণ বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ওয়েস্টফালিয়ান-পরবর্তী প্রজাতন্ত্র হিসেবে বহু শতাব্দী ধরে বিচিত্র জাতিসত্তার ধারক ও বাহক।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বহুমুখী ও একই রাজনৈতিক ইতিহাস, যা সাংস্কৃতিক অভিন্নতা এবং অর্থনৈতিক পরিপূরকতায় গভীরভাবে সম্পর্কিত। দুই দেশের মানুষের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা।
১৯৭১-এর গৌরবময় সংগ্রামের পর থেকেই দুদেশের মনস্তাত্ত্বিক এ বন্ধন দিন দিন আরো গাঢ় হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের ঐতিহাসিক অবদান বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুলবে না এবং তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে যারা ভ্রমণ করছেন তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে যাত্রা শুরু করে মৈত্রী এক্সপ্রেস Maitree express। ওই যাত্রার উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী।
দীর্ঘ ৪৩ বছর পর দুই দেশের মধ্যে এ ট্রেন যাত্রার সূচনা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর খুলনা-কলকাতা পথে বন্ধন এক্সপ্রেস bandhan express চলাচলের সূচনা হয়।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কোলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দুই দেশের মধ্যে চালু করা তৃতীয় ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেস Mitali express। ঢাকা-জলপাইগুড়ি পথে চলাচলের উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ এই ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়।
এটি ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গিয়ে ভারতের শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়িতে গিয়ে থামে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, মৈত্রী, মিতালী ও বন্ধন এক্সপ্রেস Maitree, Mitali, bandhan ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের ট্রেন দিয়েই চলাচল করছে। আগের চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী চলাচল করছে। এতে করে দুই দেশের রাজস্ব আদায় বেড়েছে।