নারীর জীবন পুরুষের লালসায় বিপন্ন ! কিছু পুরুষের যৌন কামনা থেকে বাদ পড়ছে না শিশু-বৃদ্ধা কেউ।
বাবার কামনার বলি হচ্ছে কন্যা, দাদুর লালসার শিকার হচ্ছে নাতনি, শিক্ষকের যৌন হেনস্থার বলি হয়ে মারা যাচ্ছে শিশুরা।
বাংলাদেশে ফের ঘটল অমানবিক ঘটনা। নারায়ণগঞ্জে আবারো একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করলেন স্বয়ং মাদ্রাসা অধ্যক্ষ!
মেয়েদের জীবন কোথায় গেলে রক্ষা পাবে? শিক্ষানিকেতনও বাদ যাচ্ছে না যৌনতা থেকে।
শনিবার ২৯ বছরের মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে আটক করেছে র্যাব-১১। এসময় তার মোবাইল থেকে একাধিক রেকর্ডিং জব্দ করে র্যাব।
র্যাবের জালে আটক হওয়া অধ্যক্ষের নাম মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে জসিম। তিনি দারুল হুদা মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। মাদ্রাসা অধ্যক্ষের প্রকৃত স্বরূপ প্রত্যক্ষ করল সারা বাংলাদেশবাসী!
চরিত্রহীন অধ্যক্ষের বাড়ি নেত্রকোণা লক্ষ্মীগঞ্জ কাওয়ালীকোণা গ্রামে।
মাদ্রাসায় তাঁর কামনার শিকার হয়েছে ১০ থেকে ১৬ বছরের বহু কিশোরী। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনের পরিচয় উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সমস্ত তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১১’র কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব।
বাংলাদেশের মাদ্রাসায় এই ঘটনাই প্রথম নয়। এর আগেও মাদ্রাসার শিক্ষক, একইসঙ্গে মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আহম্মেদ দীর্ঘদিন ধরে নারী এবং শিশু ধর্ষণ করেছেন জিনের ভয় দেখিয়ে । শুধু তাই নয়, ধর্ষণের সেই দৃশ্য মুঠোফোনে বন্দি করেও রাখতেন ।
ইমামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে গত রবিবার ঢাকার দক্ষিণখানের একটি মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আহমেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ভুক্তভোগী পরিবারের একটাই মাত্র প্রশ্ন, ‘শিক্ষককে আলাদা ভাবে বিশ্বাস করতে হয় না, পৃথিবীতে শিক্ষক বিশ্বাসেরই যোগ্য। কিন্তু তাঁরাই যদি এমন নারকীয়, ঘৃণ্য ঘটনা সংঘটিত করেন, তাহলে কার ওপর বিশ্বাস করা যাবে’?