ঢাকা: বাংলাদেশে গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের ব্যবস্থাপনায় ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে বৃহস্পতিবারই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।
গত বেশকিছুদিন যাবত বাংলাদেশে তীব্র লোডশেডিং চলছে। তীব্র তাপদাহের মাঝে এই লোডশেডিং মানুষ জীবন ওষ্ঠাগত করে তুলেছে। খোদ রাজধানী ঢাকায় দিনে ৫/৭ বার করে বিদ্যুৎ ঘণ্টা খানেকের জন্য চলে যায়। রাতের অবস্থাও তদ্রুপ।
বাংলাদেশের জেলার বা উপজেলা সমূহের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
এমন অবস্থার মাঝে সুখবর বয়ে আসলো-বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৩ মিনিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে আদানি গ্রুপ থেকে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৭৫৭ মেগাওয়াট। পাওয়ার গ্রিড কম্পানি (পিজিসিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিজিসিবির মুখপাত্র এ বি এম বদরুদ্দোজা খান। তিনি জানান, বুধবার রাত ৩টা ৪৩ মিনিট থেকে আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরায় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে।
সকাল ৯টায় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পরিমাণ ছিল ৬০৭ মেগাওয়াট।
বদরুদ্দোজা খান আরও জানান, বুধবার বিকেল ২টা ৪৬ মিনিটে সঞ্চালন লাইনে অনাকাঙ্ক্ষিত ট্রিপিংয়ের কারণে আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পিজিসিবির প্রকৌশলীদের দ্রুত পদক্ষেপে বুধবার বিকেল ৩টা ৬ মিনিটে লাইনটি চালু করা হয়েছিল।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাবতীয় কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্নের পর রাত ৩টা ৪৩ মিনিটে আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৭৫৭ মেগাওয়াট।
এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশ। ভারতের সঞ্চালন লাইন হয়ে নেপালের বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে।
ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে দেশে আনা হবে বিদ্যুৎ। বিষয়টি এত দিন থেমে থাকলেও সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারত সরকার। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে এ সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে রাজি হয়েছে ভারত।
ভারত প্রথমবারের মতো এ ধরনের চুক্তিতে রাজি হওয়ায় বিদ্যুৎ বাণিজ্য উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার জন্য ভারত ও নেপাল পারস্পরিক যোগাযোগ, জলবিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম অবকাঠামো, আন্তঃসীমান্ত লেনদেন ব্যবস্থা ও সমন্বিত তল্লাশি চৌকি নির্মাণ-সংক্রান্ত সাতটি চুক্তি সই করেছে।
ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোত্রা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতীয় সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশে যেতে দেওয়া।
এ ছাড়া আঞ্চলিক সংযোগকে জোরদার করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বাণিজ্য ব্যবহারের চমৎকার সুযোগ রয়েছে।’