যথেষ্ট হয়েছে অত্যাচার। আর সহ্য করবে না বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা পড়ুয়ারা। নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে ন্যায় বিচার আদায় করে নিয়েছে।
এবার থেকে র্যাগিং এবং কোন ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণ পেলে বুয়েট অপরাধী ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীবনের জন্যে বহিষ্কার করবে।
শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা নিজে বাদী হয়ে উপযুক্ত মামলা দায়ের করবেন।
সোমবার রাতে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বুয়েটের পক্ষ থেকে।
বিগত ২ মাস আকাদেমিক কার্য বন্ধ থাকার জন্যে যথেষ্ট ক্ষতিসাধন হয়েছে উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির।
৬ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল পাষণ্ড নেতা-কর্মী।
মর্মান্তিক এই ঘটনার পর থেকে বুয়েটে ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
মৃত ছাত্র আবরারের বাবার দায়ের করা মামলায় ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ৷
শিক্ষার্থীরা সত্রাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন,
# অভিযোগপত্রে নাম আসা ছাত্রদের বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।
দাবি অনুযায়ী ২৬ জন শিক্ষার্থীকে আজীবন বা স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৬ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়।
# বুয়েটের আহসানউল্লাহ, সোহরাওয়ার্দী ও তিতুমীর হলে এর আগে ঘটে যাওয়া র্যাগিংয়ের ঘটনাগুলোতে জড়িতদের বিচার ও শাস্তি।
দাবি মেনে গত বৃহস্পতিবার বুয়েটের আহসানউল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দী আবাসিক হলের ৯ ছাত্রকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
# সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি ও র্যাগিংয়ের জন্য সুস্পষ্টভাবে শাস্তির নীতিমালা প্রণয়ন করে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে অনুমোদন করে বুয়েটের অধ্যাদেশে তা সংযোজন করা।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের এই দাবিও সর্বান্তকরণে মেনে নিয়ে পূরণ করা হয়েছে।