১২ আগস্ট ঈদুল আজহা। ঈদ শিক্ষা দেয় সম্প্রীতির, শান্তির, রিপুর কু-কার্য বন্ধ করার। কিন্তু সত্যই কি তা হয়েছে? না হচ্ছে? যারা জানোয়ার, নারী দেখলেই মনে জেগে ওঠে বাঘের মতো রক্তপিপাসু লালসা! তাদের কাছে যে কোন পর্বই কেবল নির্যাতনের পর্ব।
সদ্য কিশোরী মেয়েটির তো আজ আনন্দ করার কথা ছিল! কিন্তু সে হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রণায় ছটফট কাতরাচ্ছে!
বাংলাদেশের ভোলায় রবিবার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে দুই প্রতিবেশি পাষণ্ড পালা করে ধর্ষণ করেছে। বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কিশোরীকে। বর্তমানে তার অবস্থা সংকটজনক বলে জানা গেছে।
ধর্ষক দুই জনের নাম আল আমিন ও মঞ্জুর আলম। লোমহর্ষক এই ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, ১২ আগস্ট ঈদ। তাই পূর্বদিন অর্থাৎ রবিবার রাত ৮টা নাগাদ কিশোরীটি হাতে শখ করে মেহেদি লাগানোর জন্যে পাশের বাড়ির আত্মীয় মাহাফুজের স্ত্রীর কাছে গিয়েছিল।
ছাত্রীকে দেখে মাহাফুজের ভাড়াটিয়া আল আমিন ক্ষুধার্ত হয়ে ওঠে। ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকে মঞ্জুর আলমের সহায়তায় হাত-পা শক্ত রশি দিয়ে বেঁধে নির্মম অত্যাচার চালায়।
জানা গেছে, আল আমিন বিবাহিত। কিন্তু সে সময় তার স্ত্রী বাড়িতে ছিল না। ঝোপ বুঝে কোপ মারে আমিন।
৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তির জন্যে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাখতে চাননি। তাঁরা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার অবস্থা সংকটজনক। তার বয়স কম হওয়ার ফলে রক্তক্ষরণ কিছুতেই কমছে না। ফলে তাকে দ্রুত বরিশাল চিকিৎসালয়ে রেফার করা হয়।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় দু-জন ছাড়াও জামাল নামক এক ব্যক্তিও জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। তাকেও আটক করেছে পুলিশ।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ হাসিনা বলেন, ‘শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয় ঈদুল আজহা। তাই আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।
প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা সফলতার পথে কবে যাবে, সেটাই মূলত চিন্তার বিষয়।