ঢাকা: রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) মৃত্যুতে শুক্রবার থেকে তিনদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করছে বাংলাদেশ (bangladesh)।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে-শুক্র, শনি ও রোববার পর্যন্ত বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
রানীর (Queen Elizabeth II) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (sheikh hasina)। বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এ শোক জানান।
সূত্র জানায়, ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে (Queen Elizabeth II) নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের স্মৃতি অম্লান। ১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে সফরে এসেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ Queen Elizabeth II, সেই সময় তিনি বাংলাদেশের একটি গ্রামের নারীদের দেখতে গিয়েছিলেন।
চার দিনের সরকারি সফরের একদিনে তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগীরচালা গ্রাম দেখতে গিয়েছিলেন। ঢাকা থেকে ট্রেনে করে শ্রীপুর, সেখান থেকে গাড়িতে করে বৈরাগীরচালায় যান রানি। রানির এই সফর এখনো গ্রামটির মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।
রানির আগমন উপলক্ষ্যে ওই গ্রামে ব্যাপক উন্নয়নকাজ হয়েছিল, যা পরবর্তী সময় এলাকায় কলকারখানা গড়ে উঠতে সাহায্য করে।
এর আগে দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Queen Elizabeth II) প্রথমবার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা সফরে আসেন ১৯৬১ সালে। ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এক রাজকীয় সফরে ঢাকা আসেন তিনি।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন মুকুটধারী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্যালেসে ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ Queen Elizabeth II ব্রিটেনের সিংহাসনে আসীন ছিলেন ৭০ বছর ধরে। চলতি বছরই তার সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উদযাপিত হয়েছে।