চিকিৎসার চরম গাফিলতি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে । প্রসূতি প্রসব যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন , এদিকে ডাক্তার অনুপস্থিত । আর এই অনুপস্থিতি এক সদ্যজাতের প্রাণ নিয়ে নিল ।
ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে অজ্ঞ নার্স প্রসূতির সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের হাত ও গলার রগ ছিঁড়ে ফেললেন । করুণ , গায়ে শিহরণ জাগানো ঘটনাটি সংঘটিত হয় গত রবিবার ।
ভুক্তভোগী প্রসূতি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কুমড়াকাপন গ্রামের বাসিন্দা মো. আওয়াল হাসানের স্ত্রী।
গলার রগ ছিঁড়েই ক্ষান্ত থাকেননি ঐ নার্সরা । শিশুর গলার রগ ছিঁড়ে গেলে অবস্থা খারাপ লক্ষ্য করে মা’কে অর্ধেক সিজার করে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান ।
পরে আত্মীয়-পরিজনেরা অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে ভয়ংকর দৃশ্যের সম্মুখীন হন । তাঁরা দেখেন, নবজাতকের অর্ধেক মায়ের পেটে এবং শরীরের বাকি অর্ধেক অর্থাৎ মাথা ও হাত বাইরে।
মা-শিশুর মর্মান্তিক এই অবস্থায় অন্য ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু শিশু আর পৃথিবীর আলো দেখল না । মৃত নবজাতকের জন্ম হয় ।
প্রসূতি সুমনা বেগম জানিয়েছেন, নার্সরা পশুর মতো পেট থেকে বাচ্চাকে টানছিল । ‘আমার স্বামী নার্সদের বলে দেওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে রক্ত না নেওয়ায় নার্সরা আমাকে জোর করে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। আমি তাদের বললাম একটু আগে বললেন সিজার লাগবে। আমার স্বামী রক্ত আনতে গেছে। তখন তারা আমাকে ধমক দেন। সেই সঙ্গে তারা আমার পেটে জোরে জোরে চাপ দিতে থাকেন। পশুর মতো পেট থেকে বাচ্চা টানতে শুরু করেন তারা। এতে আমার বাচ্চার হাত এবং গলার রগ ছিঁড়ে যায়। পরে তারা আমাকে ফেলে রেখে চলে যান।’
সুমনার স্বামী আওয়াল হাসান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি অসহায় মানুষ, আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।’
কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে বিচার পেয়েছেন কিনা, তার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি ।