বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। বুধবার পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে ৮ বিভাগে সর্বমোট ৭৪ হাজার ৮৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ১ হাজার ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকাতেই। বিভাগীয় হিসেবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে। তবে করোনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগ ব্যতীত ঢাকাতেই অন্য ৬ বিভাগের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। শুরুর দিকে শুধুমাত্র আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হলেও পরবর্তীতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে ৫৬টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।
তবে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বিস্তার বন্ধ করতে পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন বলে মনে করে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। জীবন ও জীবিকার সামঞ্জস্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সারা বাংলাদেশে আক্রান্ত ও ঝুঁকির মাত্রার ভিত্তিতে যতটা বড় এলাকায় সম্ভব জরুরি লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির নবম সভা শেষে থেকে বুধবার এমন সুপারিশ আসে। সভায় হাসপাতালের সেবার পরিধি বাড়ানোসহ পাঁচটি সুপারিশ করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে ১৭ সদস্যের এই কমিটি।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ নিশ্চিত করতে ‘পূর্ণ লকডাউন’ প্রয়োজন।