ঢাকা: সংস্কৃতি আর ধর্ম এক জিনিস নয়। এটা বোধহয় ওপার বাংলার অনেকেই ভুলে গিয়েছেন। তেমনি পয়লা বৈশাখ। এটি আপামর বাঙালির। এখানে কোনো আপস হয় না।
“পহেলা বৈশাখ” কোন নির্দিষ্ট ধর্মের উৎসব নয়। বাঙালীর প্রাণের উৎসব….. সকল ধর্মের,সকল মানুষের উৎসব॥ বাংলা বছরের প্রথম দিনে সবাই একত্রিত হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে॥ এখানে অংশগ্রহন যার যার নিজস্ব ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিরোধিতা কাম্য নয়॥
সরব অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।পয়লা বৈশাখে বাংলাদেশের ঐতিহ্যমণ্ডিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ (Mangal Shobhajatra) বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া দিলেন চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury)।
উল্লেখযোগ্য যে, নোটিসে বলা হয়, ‘মঙ্গল’ শব্দটি একটি সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় শব্দ। সকল ধর্মের লোকজন তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে ‘মঙ্গল’ প্রার্থনা করে থাকেন।
এখন এই মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে বিভিন্ন ধরনের দৈত্য আকৃতির পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে। যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২ক-এর সরাসরি লঙ্ঘন এবং দণ্ডবিধির ২৯৫-ক ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে অভিনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ সংক্রান্ত পোস্টার শেয়ার করেন। লেখা হয়েছে, “সাম্প্রদায়িক পিশাচদের রুখে দিতে দলে দলে মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দিন।”
ক্যাপশনে চঞ্চল চৌধুরী লিখেছে জলন, “‘পহেলা বৈশাখ’ কোন নির্দিষ্ট ধর্মের উৎসব নয়। বাঙালির প্রাণের উৎসব…সকল ধর্মের, সকল মানুষের উৎসব। বাংলা বছরের প্রথম দিনে সবাই একত্রিত হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে। এখানে অংশগ্রহণ যার যার নিজস্ব ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিরোধিতা কাম্য নয়।”
তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে এ নিয়ে।