অসমের এনআরসি নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত বাংলাদেশ। ৩১ শে আগস্ট জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যাবার পর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ‘এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে তাঁদের নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন।
তারপরও বাংলাদেশ কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছে না। শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার ৭৪তম অধিবেশনের এক অবসরে নিউ ইয়র্কের হোটেলে মোদি–হাসিনার আলোচনা হয়। সেখানেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এনআরসি নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা উত্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আন্তরিক সে আলোচনায় ভারত আর বাংলাদেশ প্রতিবেশী দুই দেশের মাঝে অত্যন্ত ভাল সম্পর্কর ফলে এনআরসি এবং জলবণ্টনের মতো বিষয়গুলি জটিলভাবে নেবার কোন কারণ নেই।
ভারতীয় আধিকারিকরা এই বিষয়গুলোর সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন অবিরত। এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের কোন ভয় নেই। কিংবা ওপার বাংলার ওপর জাতীয় নাগরিকপঞ্জির কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানান মোদি।
প্রসঙ্গত ৫ অক্টোবর সপ্তমীর দিন নয়া দিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন দু-দেশের প্রধানমন্ত্রী।