কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয় সভ্যতার । বদলায় পৃথিবী । এটাই নিয়ম । কিন্তু রীতিমত চুরিকার্য, সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের জাদুঘরের বহু প্রত্নসম্পদসমূহ ।
বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম দৈনিক জাগরণ থেকে জানা গেছে,যাদুঘর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের জানানো তথ্য মতে, রাষ্ট্রীয় প্রত্নসম্পদের মূল ভান্ডার জাতীয় জাদুঘর থেকে পুরাকীর্তি চুরির ঘটনা প্রচুর ঘটছে।
শুধু তাই নয়, প্রতিবেদনে আরো জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে বিষ্ণুমূর্তি, বামনমূর্তি, শ্যামতারা, তামার আলিঙ্গনমূর্তি, ননী গোপাল মূর্তি, অজ্ঞাত দেব-দেবীর মূর্তি, কালো পাথরের হরগৌরীসহ বহু ঐতিহাসিক যুগ যুগের ঐতিহ্য ধরে রাখা মহামূল্যবান মূর্তিগুলো পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশে-বিদেশে !
সম্পদগুলো এভাবে দিনের পর দিন, যুগের পর যুগ ধরে মূল জাদুঘর থেকে খোয়া যাচ্ছে, পাচার হচ্ছে, কিন্তু এতসব ঘটনার পরও জাদুঘরে তেমন কোন কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি ।
এমনকি জানা গেছে, সেখানের সিসিটিভি ক্যামেরাও একএকটা কার্যহীনভাবে ভেঙে পড়ে আছে । জাদুঘর সুষ্ঠুভাবে রক্ষা না করার জন্যে এভাবে চুরি কার্য হয়েই চলেছে ।
এসব ঘটনায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছিল ।কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি । মাঝপথেই থেমে গেছে সব হম্বিতম্বি। দেশের গরজ নেই । সরকারের গরজ নেই । তাই আজ এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাগুলো ঘটে যাচ্ছে ।
বিগত ২০ ফেব্রুয়ারি র্যাবের হাতে ধরা পড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের একটি মূর্তিসহ মনির হোসেন নামের প্রত্নসম্পদ পাচারকারী সিন্ডিকেটের এক সদস্য।
ধৃত মনির জানায়, সে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মূর্তি সংগ্রহ করে। পরে তা দেশের বাইরে পাচার করে। দীর্ঘদিন সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি পাচার করে আসছে বলে স্বীকার করে ।