ঢাকা:‘বাংলাদেশ (bangladesh) যুদ্ধ চায় না। শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানানো হবে।’
মায়ানমার (myanmar) থেকে ছোঁড়া গোলায় এক বাংলাদশি (Bangladeshi) নিহত প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রাষ্ট্রসংঘে যাবার এ হুশিয়ারি দিয়েছেন। শনিবার রাজধানী ঢাকার (dhaka) ধানমন্ডিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বার্মিজ সেনার ছোঁড়া মর্টারশেলের গোলাটি বাংলাদেশের (Bangladesh) বান্দরবানের (bandarban) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় এসে পড়ে।এনিয়ে বেশকয়েকবার মায়ানমারের (Myanmar) গোলা এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে।
এদিকে মায়ানমারে (Myanmar) সেনার সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে রোহিঙ্গা (Rohingya) জঙ্গিদের। এই অশান্তির কারণে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (Bangladesh) বা বিজিবিকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে।
ঢাকায় (Dhaka) বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, মায়ানমারের (Myanmar) কোনও উসকানিতে পা দেবে না বাংলাদেশ (Bangladesh)। তবে অযথা অশান্তি এড়াতে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের (Rohingya) নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে।
এই বিষয়ে আগেও মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। রাখাইন রাজ্যের পাহাড় থেকে ছোঁড়া একটি মর্টার শেল এসে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় পড়ে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
এতে এক শিশু-সহ পাঁচ রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
নিহত কিশোরের নাম মহম্মদ ইকবাল (১৫)। সে আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থী মুনির আহমদের ছেলে। আহত পাঁচ রোহিঙ্গাদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে।
এরা হলেন জাহিদ আলম (৩০), নবী হোসেন (২১), মো. আনাস (১৫) ও সাহদিয়া (৪)।গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে রাখাইন রাজ্যে বিমান হামলা চালাচ্ছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী।
এর আগে আরাকান আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা মংডুতে পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে এবং সংঘর্ষে ১৯ পুলিশ আধিকারিক নিহত হন। আগস্ট মাসে পুলিশ ফাঁড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় আরাকান আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা।
সেখানে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম লুঠ করে তারা। জিরো লাইনের কাছাকাছি কোণারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই মুহূর্তে ৪ হাজারের মতো রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছেন। তাঁরা আতঙ্কিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ ও হতাহতের ঘটনায় মায়ানমারকে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নো ম্যান্স ল্যান্ডে রোহিঙ্গা শিবিরে মায়ানমার থেকে আসা মর্টারশেলের বিস্ফোরণে একজন নিহত হন। আহত হন আরও তিন-চারজন। তখন বাংলাদেশের ভেতরের একটি বাড়ির উঠানেও গোলা এসে বিস্ফোরিত হয়।
এর আগে দুপুরে তুমব্রু সীমান্তবর্তী নো ম্যান্স ল্যান্ডে ‘মাইন’ বিস্ফোরণে বাংলাদেশি এক তরুণের পা উড়ে যায়।