ঢাকা: বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ করা হল বাংলাদেশ সংসদে। কিন্তু এই বাজেট নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক, সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ এই বাজেট লোকজনের মাথায় আরো বাড়ি দিয়েছে এমনটাই বলছেন দেশের জনগণ। জিনিসের দাম যে হারে বাড়ানো হয়েছে, তাছাড়া এমনিতেই লোকজন নাকাল দামে, আর এই বাজেট যেন আরো পঙ্গু করে দিলো।
৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। এই বাজেটে পণ্যের ওপর শুল্ক কর অথবা ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী।
লেখার কলম, ফেসিয়াল টিস্যু, টয়লেট টিস্যু, সিমেন্ট, কাজু বাদাম, বাসমতি চাল, চশমা, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, প্লাস্টিকের পাত্র, অ্যালুমিনিয়ামের বাসন, খেজুর, বিদেশি টাইলস, দেশে উৎপাদন করা মোবাইল ফোনসহ বেশ আরো অনেক কিছু পণ্যের দাম বাড়তে চলেছে।
এছাড়াও, সিগারেট, জর্দা, গুল, ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সমজাতীয় ইলেকট্রিক ভ্যাপোরাইজার ডিভাইস বা ভ্যাপের দামইলেকট্রনিক সিগারেট ও সমজাতীয় ইলেকট্রিক ভ্যাপোরাইজার ডিভাইস বা ভ্যাপের দাম বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী।তবে বিড়িতে নতুন করে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেননি অর্থমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে চার ধরনের সিগারেট পাওয়া যায়। হলিউড, ডার্বি সহ নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, মধ্যমস্তরে (স্টার, নেভি) ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭, উচ্চস্তরে (গোল্ডলিফ) ১১১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৩ ও অতি উচ্চস্তরের (বেনসন, মার্লবোরো) সিগারেটের দাম ১৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সঙ্গে নিম্নস্তরের সিগারেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১ শতাংশ বাড়বে। ফলে এই ধরনের সিগারেটের দাম বেশি বাড়তে পারে।
অনেকে বলছেন, সিগারেটের দাম বাড়িয়ে সিগারেট খাওয়া রোধ করা যাবে না। তাছাড়া যারা ড্রাই ফ্রুটস এসব খান তাদের জন্য তো কাজুর দাম বাড়লোই। এবং কলমের দামও। যা নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট দেশের মানুষ।