বহু টানাপোড়েনের পর আজ স্থায়ী জামিন পেলেন বাংলাদেশ বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
বৃহস্পতিবার দুটো শর্তে মিন্নির জামিন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট।
প্রথমত, তিনি কোনরকমভাবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বার্তালাপ করতে পারবেন না।
দ্বিতীয়ত, আয়েশাকে তাঁর বাবার জিম্মায় থাকতে হবে।
আয়েশা সিদ্দিকা যদি কোনভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন, তবে তাঁর জামিন বাতিল করে দেয়া হবে। এমনই নির্দেশ দেয়া হয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের তরফ থেকে।
# গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিন্নির স্বামী রিফাত শরিফকে।
# ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। প্রধান সাক্ষী করা হয় রিফাতের স্ত্রী আয়শাকে। কিন্তু আয়েশার শ্বশুর মামলার ১৮ দিন পর গত ১৩ জুলাই এই হত্যাকাণ্ডে আয়শা জড়িত এমন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করার পর মামলাটির তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়।
# আয়েশার বাবা দাবি তুলেছিলেন, মেয়েকে পাঁচ দিনের রিমাণ্ডে নিয়ে জোরপূর্বক যা বলতে বলা হয়েছে, তাই বলেছেন মিন্নি। এই মর্মে ৩০ জুলাই মিন্নি তার জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন।
# গত ২ জুলাই এই মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
# ১৬ জুলাই সারাদিন জেরা করার পর নিহত শরিফের স্ত্রী মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমাণ্ড চাইলে আদালত পাঁচদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করে।
# গত ২২ এবং ৩০ জুলাই মিন্নির জামিন আবেদন দুবার খারিজ করে দিয়েছিলেন বরগুনার এক আদালত। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন।
# মিন্নির জামিন প্রশ্নে এ আদালত গত ২০ আগস্ট এক সপ্তাহের রুল জারি করে আদেশ দিয়েছিল। সেদিন একইসঙ্গে গতকাল ২৮ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সিডিকে নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হতে বলেন। সেই অনুসারে তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির কেস ডকেট নিয়ে আদালতে হাজির হন।