স্বাভাবিক জীবনে ফেরার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীরা যদি ভুল স্বীকার করে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেয়, তাহলে সরকার বিষয়টি ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার খাগড়াছড়ির রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ আয়োজিত সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবিরোধী এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীরা যদি ভুল স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করতে পারে। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে আমরা সব উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। সুন্দরবনের জলদস্যুরা ক্ষমা চেয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। যারা করেনি তাদের নির্মম পরিণতি হয়েছে। খাগড়াছড়ি আমার প্রিয় একটি জেলা। এখানে অনেকবার এসেছি। পাহাড়ের অপার সৌন্দর্যমণ্ডিত এমন এলাকা খুব কমই দেখেছি। কিন্তু এই পাহাড়ে কেন এত অশান্তি, কেন এত বিভ্রান্তি তা শুক্রবার রাঙ্গামাটিতে যে বৈঠক হবে সেখান থেকে বিস্তারিত জানবো। পাহাড়ে কী নেই, কীসের অভাব। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়। তারপরও কেন রক্তের হোলি হবে, অশান্তি হবে, তা খতিয়ে দেখবো।”
বাংলাদেশে মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “দেশে ৮০ লক্ষ মাদকসেবী রয়েছে। আমাদের দেশে মাদক এখন যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সর চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান প্রমুখ।
এছাড়া সমাবেশে জেলার জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশের পূর্বে স্বরাষ্টমন্ত্রী ৪তলা বিশিষ্টি নবনির্মিত রামগড় মডেল থানা ভবন উদ্বোধন করেন। ৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যায়ে এ ভবন নির্মাণ করা হয়।