মহাত্মা গান্ধীর দেড়শ’তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রথমবারের জন্যে বাংলাদেশে বিতরণ করা হচ্ছে ৫০০ কৃত্রিম পা।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে দেশে কৃত্রিম পা বিতরণের সমস্ত কার্য পরিচালনা করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য যে বিগত ৩ টি বছরে রাজস্থানের জয়পুর ফুটের কৃত্রিম পা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাংলাদেশে বিতরণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কিন্তু দেখা গেছে, ওপার বাংলায় এ বিষয়ে স্থায়ী কোন কেন্দ্রের সুবিধা নেই। ফলে ভারতের ভগবান মহাবীর বিকলাঙ্গ সহায়তা সমিতি মানুষের প্রয়োজনে বাংলাদেশে স্থায়ী কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করতে আগ্রহী।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, অপরাধীর প্রতি ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ প্রভৃতি চলছে যদিও অপরাধের মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে না কিছুতেই। এদিকে দেশের মানুষ ভুগছে বিকলাঙ্গ হয়ে।
ওপার বাংলায় প্রতি বছর যেখানে প্রায় ৩ হাজার মানুষের কৃত্রিম পায়ের চাহিদা রয়েছে সেখানে জনবলের অভাবে ১৯৯৩ সালে বন্ধ হয়ে যায় অর্থোপেডিক হাসপাতালের কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন কেন্দ্রটি।
দেশের এই চরম অভাবের দিনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, “উচ্চমূল্য এবং অন্যদিকে মানসম্পন্ন কৃত্রিম পায়ের অভাবে ভুক্তভোগীদের নির্নিমেষ থাকতে হয় বিনামূল্যে বিতরণের দিকে। জনসাধারণের চাহিদা মেটানোর জন্যে নেই কোন স্থায়ী কেন্দ্র চালুর বিকল্প।’