ঢাকা : আগুন কাণ্ড পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের (Bangladesh)। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আগুন লাগার খবর মিলছে। ধন-সম্পদ পুড়ে তো ছাই হচ্ছেই, যাচ্ছে প্রাণহাণীও। ফের ঢাকার (Dhaka) অদূরে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে আগুনে পুড়ে স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন।
শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কোনাবাড়ি জরুন এলকার শুকুর সিকদার বাড়িতে আগুন লাগে।মারা গিয়েছেন-শফিয়ার রহমান (৩৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৩৬)।দেশের উত্তর জনপদ জেলা নীলফামারীর ডোমরা থানার বাসিন্দা নুরি ইসলামের মেয়ে নাসরিন আক্তার।
তিনি কাশিমপুরে তাসনিয়ায় সুয়িং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। শফিয়ার রহমানের বাড়ি নীলফামারী ডিমলা থানার ডাঙ্গার হাট গ্রামে। এই দম্পত্তির ঘরে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুকুর শিকদারের ছয়তলা ভবনের নিচতলাতে ভাড়া থাকতেন ওই দম্পতি। বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রহরী ওই রুমে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তাদের মধ্যে একজন ৯৯৯ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সিআইডি এসে আলামত সংগ্রহ করেন। নাসরিনের ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, ওদের মধ্যে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতো। গত কয়েকদিন আগেও এসে তাদের ঝামেলা মিটিয়ে গিয়েছে।
বোনটা জীবনেও সুখ পেল না। ঘরে কীভাবে আগুন লাগলো এটাই বুঝতে পারছি না। এতো কষ্ট করে মারা গেলে। কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
বন্দরনগর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে স্মৃতি উসকে ফের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৩টায় ডিপোর একটি ঝুটের শেডে আগুন লাগে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এর আগে রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।উল্লেখ্য, এ বছরের জুনে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ অর্ধশত লোক পুড়ে মারা যায়।
এরপর ঢাকার ধামরাইয়ে বিসিক শিল্প নগরীর বাংলাদেশ এগ্রিকালচার লিমিটেড কারখানার একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। দ্রুত লেলিহান শিখা কারখানার চারতলায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
কিন্তু আগুন বেশি হওয়ায় আরও ফায়ার ইউনিট তলব করা হয়। পরে সাভার, ডিইপিজেড, জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের দু’টি করে ইউনিট ও একটি গাড়ি-সহ মোট ৯ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে উদ্ধার কাজে নামানো হয়।
অভিযোগ ছিল, সেখানে মজুত কন্টেনারগুলিতে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে।