প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ছোবলে বাংলাদেশের উপকূল লণ্ডভণ্ড হয়েছে। জলোচ্ছ্বাস ও বাধ ভেঙে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আম্ফানের তীব্রতা অনেকটাই কমে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে আম্ফানের তাণ্ডবের সময়
গাছ ও দেয়ালচাপায় এবং নৌকাডুবিতে বিভিন্ন স্থানে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে প্রবল বেগের এই ঝড়ে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকা লণ্ডভণ্ড করে দেয়। বিধ্বস্ত হয় ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। উপকূলের ১৯ জেলায় অন্তত ৫১ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ভয়াল গতি নিয়ে সুন্দরবনেই ছোবল মারে ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এর আগেও সিডর-বুলবুলের আঘাত আসে সুন্দরবনে। এই সুন্দরবনই বাঁচিয়ে দেয় হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দুর্বল হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ যেসব এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও ৯ নম্বর বিপদ সংকেত ছিল, সেটি তুলে ফেলা হয়েছে। তার পরিবর্তে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে আম্ফানের প্রভাবে আজ সারা বাংলাদেশে ঝড়-বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগেও ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।