প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ তাণ্ডব চালিয়েছে বাংলাদেশে বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চলের জেলাগুলোতে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে কয়েক লাখ গাছগাছালি উপড়ে পড়েছে। উপকূলীয় জেলার বহু এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ও ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। জলবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে নিরুপায় মানুষকে সহায়তা দিতে ও উদ্ধারকাজ চালাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার ভোর ৩টার পর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডব শুরু হয়। এসময় বাংলাদেশের পটুয়াখালী ও খুলনায় ঘর এবং গাছচাপা পড়ে নারীসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন-পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুরা গ্রামের হামেদ ফকির (৬০) ও খুলনার দাকোপ উপজেলার দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের সুভাষ মণ্ডলের স্ত্রী প্রমিলা মণ্ডল (৫২)।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসালয়ে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বাংলাদেশের তিন সমুদ্রবন্দর-মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে জারি করা মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকেও ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ৩ স্থানীয় নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সতর্কতা সংকেত কমানো হলেও উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে কলকাতা ও উড়িষ্যায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।