ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারত (india Bangladesh) সরকারের যৌথভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও ফেনীর ছাগলনাইয়া border haat দুটি আবারও চালুর উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
পর্যটন ও স্থানীয়দের কেনাকাটার সুবিধার্থে ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি চালু হয়েছিল ছাগলনাইয়া ও ৬ জুন চালু হয়েছিল কসবা border haat। এরপর দেশে Corona ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২০২০ সালের মার্চে বন্ধ হয়ে যায় এ হাট দুটি।
প্রায় তিন বছর পর আবারও হাট দুটি চালুর জন্য উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।
ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সরকার গত সপ্তাহে হাট দুটি চালু করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠিয়েছে। কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ উল আলম জানান, কসবা হাটটি চালু করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তারা সাড়া দিলেই চালু করা সম্ভব। দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের সুবিধার্থে সীমান্ত এলাকার দুটি সীমান্ত হাট পুনরায় চালুর চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সীমান্ত এলাকায় বৈধ বাণিজ্য নিশ্চিতে ২০১১ সালে যাত্রা হয়েছিল border haat কার্যক্রমের।
দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় ২২টি হাট চালু করার কথা ছিল। গত এক দশকে tripura এবং Meghalaya রাজ্যে ভারত-বাংলা সীমান্ত বরাবর মোট ১০টি বর্ডার হাট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি মেঘালয়ে এবং চারটি ত্রিপুরায়।
এ পর্যন্ত মাত্র চারটি border haat চালু করা সম্ভব হয়েছে। পণ্য কেনাকাটার পাশাপাশি দুই দেশে থাকা আত্মীয়স্বজন ও সাধারণ মানুষের যোগাযোগের জন্য হাটগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
হাটবারের দিন বর্ডার হাটগুলো পরিণত হয় দুই পাড়ের বাসিন্দাদের মিলনমেলায়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৯৭০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে এবং ১৪০ কোটি ডলারের বেশি রপ্তানি করেছে।