নয়াদিল্লি: রতন টাটার ratan tata, নামে গোটা ভারত পাগল। শ্রদ্ধাশীল একজন মানুষের মনে হয় সারাদিন পা ছুঁয়ে থাকলেও কোনো ক্ষতি নেই। এবং সবাই তাই করেন।
রতন টাটা ratan tata মানে দেবতা; রতন টাটা মানে প্রণাম। দেশবাসীর নয়নের মণি তিনি৷ বহু তরুণ-তরুণীর ইচ্ছাকে স্বপ্নের উড়ান দিতে নতুন স্টার্টআপে বিনিয়োগ করা তাঁর অভ্যাস৷ সবসময় দেশের কথা ভাবেন। দেশের স্বার্থে নিজেকে উৎসর্গ করা তাঁর ধর্ম।
এবারও বিনিয়োগ করলেন৷ কিন্তু এই স্টার্টআপ স্পেশাল৷ সবদিকে সবসময় তাঁর চোখকান খোলা থাকে।একজন প্রকৃত ব্যবসায়ী মানুষ তিনি। তিনি জানেন কখন কোথায় কীভাবে কাজ করতে হবে।
এবার বয়স্ক নাগরিকদের সঙ্গ দেওয়ার একটি স্টার্ট আপ সংস্থায় বিনিয়োগ করলেন ৮৪ বছর বয়স্ক রতন টাটা৷ যেটা আগে কোনও দিন করেননি৷
এই সংস্থায় বিনিয়োগ করার কথা ঘোষণা করার সময় রতন টাটা বলেন, “যত ক্ষণ না কেউ একা হয়ে সঙ্গী খুঁজছেন, তত ক্ষণ বোঝা যায় না একাকিত্ব কেমন।”
গুড ফেলো নামে স্টার্টআপটি বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের কথা চিন্তা করেই তৈরি করা হয়েছে। এই স্টার্টআপে বিনিয়োগ করার সময়, নিজের মনের কথা ব্যক্ত করেন রতন। জানান, বয়স হলে কেমন লাগে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক টানাপড়েনের মধ্যে পড়তে হয়। বলেন, যত দিন না সত্যি সত্যিই কারও বয়স বাড়ছে তত দিন কেউই বার্ধক্য নিয়ে খুব একটা চিন্তিত হন না। যথাযথ সঙ্গ পাওয়া নিয়েও কারও বিশেষ মাথব্যথা থাকে না৷ কিন্তু সত্যিকারের ভাল মানুষের সঙ্গ পাওয়া খুব কঠিন৷ বয়স্কদের একজন সাথীর দরকার। যা বয়স হলেই বোঝা যায়। একাকীত্বে ভোগেন মানুষ।
জেনে রাখা প্রয়োজন যে,এই স্টার্টআপ সংস্থাটির কর্মীদের কাজ যাঁরা মূলত একা থাকেন এমন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গ দেওয়া। তাঁদের পূর্ণ করে রাখা। আপাতত সপ্তাহে তিন দিন সংস্থার কর্মীরা তাদের গ্রাহকদের সঙ্গ দেবেন৷
সংস্থাটি একা থাকা বয়স্কদের সঙ্গ দেওয়ার জন্য কর্মীর সন্ধান দেবে। গ্রাহকের সঙ্গে দিনে চার ঘণ্টা সময় কাটানো থেকে শুরু করে তাঁর প্রয়োজনের উপরে নজর রাখতে হবে, গল্প করা। এসব কর্মীর কাজ। মাসে ৫০০০ টাকায় কাজ করবেন কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, স্টার্টআপটি শুরু করেছেন রতন টাটার খুব প্রিয় শান্তনু নাইডু। শান্তনু একদিকে রতন টাটার পরামর্শদাতা, অন্যদিকে বন্ধু।