দুই রোহিঙ্গা ও ২ বাংলাদেশি নাগরিককে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল শিলচর আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বাংলাদেশের জাহিদ আহমেদ ওরফে মহম্মদ ইয়াসি ও তাঁর স্ত্রী হালিমা খাতুন এবং মায়ান্মারের আমির খান ও দিলবার বেগম।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪(এ) ধারায় চারজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করেন শিলচর আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিসবাহুল হাসান আনসারি।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাসে শিলচরের সোনাবাড়িঘাটে সিরিকুল ইসলাম বড়ভুঁইয়ার বাড়ি থেকে রোহিঙ্গা সন্দেহে ৮ জন ছাড়াও মালিককে গ্রেফতার করা হয়।
এদের মধ্যে ৪ জন কিশোরী ছিল। চার রোহিঙ্গা কিশোরীকে কয়েকদিন আগে শিলচরের অবজারভেশন হোম থেকে গুয়াহাটি স্টেট হোমে প্রেরণ করা হয়েছে।
ধৃত ৮ বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতারের পর পুলিশের জেরায় জানা যায়, বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবির থেকে তাদের এক দালাল চক্র কাশ্মীরে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে শিলচরে নিয়ে আসে। প্রথমে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে তাদের চোরাই পথে আগরতলা নিয়ে আসা হয়। এরপর ট্রেনে চেপে তাদের নিয়ে শিলচর পৌঁছায় দালাল চক্র। কয়েকদিন সোনাবাড়িঘাটে থাকাকালীন পুলিশের জালে ধরা পড়ে তারা।
ধৃত মহম্মদ রিয়াজ ও আমির খানের কাছ থেকে ভুয়ো ভারতীয় আধার কার্ড ও অন্যান্য ব্যক্তির নামে পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।