রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওরের সঙ্গে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর সাক্ষাৎ হলে ভারতবর্ষের ইতিহাস অন্যরকম লেখা হতো। কিন্তু ভারতবাসীর দুর্ভাগ্যের জন্য তা বাস্তব হয়নি। ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওরের শেষ সময়ে নেতাজী গিয়েছিলেন উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ থাকায় কথা হয়নি উভয়ের মধ্যে, নেতাজী শুধু ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওরকে দেখেই চলে যান। নতুবা দুই মহীরুহের সাক্ষাত হলে দেশের ইতিহাস আজ অন্য কথাই বলতো।
নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৪ তম জন্মদিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আরএসএসের পশ্চিম কাছাড় জেলার উদ্যোগে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য পথ সঞ্চলনের পর বৌদ্ধিক রাখতে গিয়ে এই কথাগুলো বলেন সংগঠনের দক্ষিণ আসাম প্রান্ত প্রচারক সঞ্জয় কুমার দেব।
ওই দিন বিকেল দুটায় সিদ্ধেশ্বর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের সামনে থেকে সঞ্চলন শুরু হয়। এতে সংঘের চিরাচরিত বাদ্যযন্ত্রের তালে পা মেলান স্বয়ংসেবকরা। গৌরিক ধ্বজ নিয়ে সঞ্চলন এগোতে থাকে।
কাটিগড়া বাজার থেকে সঞ্চলন শুরু হয়ে কাতিরাইল পেট্রল পাম্পের সামনে থেকে মোড় নিয়ে বারুণী মেলা মাঠে এসে সমাপ্ত হয়। রাস্থায় বিভিন্ন স্থানে মহিলারা শঙ্খধ্বনী উলুধ্বনী সহ ফুল ও আবির ছিটিয়ে গৌরিক ধ্বজ এবং স্বয়ংসেবকদের বরণ করেন।
সঞ্চলনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পশ্চিম কাছাড় জেলার ২২০ জন স্বয়ংসেবক অংশ নেন। সঞ্চলন শেষে প্রান্ত প্রচারক সঞ্জয় কুমার দেব স্বয়ং সেবকদের উদ্যেশ্যে বৌদ্ধিক রাখতে গিয়ে বলেন দেশমাতৃর সেবায় সকলকে একজোট হয়ে কাজ কাজ করতে হবে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের সর্বত্র সংঘের পরিচিতি রয়েছে।
গোটা সমাজ স্বয়ংসেবকদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। নিজের ব্যবহারের মধ্যে স্বয়ংসেবকের সব গুণ প্রকাশিত করতে আহ্বান জানান প্রান্ত প্রচারক।
ওই দিনের সঞ্চলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের পশ্চিম কাছাড় জেলা কার্যবাহ অভিজিৎ দেব, জেলা প্রচারক রাজ কিশোর ঘাটোয়ার, বড়খলা খন্ড সংঘ চালক রঞ্জন-রশ্মি গোস্বামী প্রমুখ।