এবার অসম সরকারের রোষানলে সরকারি কর্মচারীরা, অনুশাসনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, রাজ্যের প্রতিটি জেলার শিক্ষা আধিকারিকদের অসম প্রাথমিক শিক্ষা সঞ্চালকালয়ের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ প্রেরণ করা হয়েছে।
্নির্দেশানুযায়ী, বর্তমান সময়ে বহু ব্যবহৃত ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ইনষ্টাগ্রাম প্রভৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষা বিভাগের আধিকারিক এবং শিক্ষক অথবা ঠিকাভিত্তিক সরকারি কর্মচারি রাজনৈতিক কার্যে জড়িত হন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অনুশাসনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তাঁরা কোনধরনের রাজনৈতিক পোস্ট করতে পারবেন না সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি ব্যক্তিগত মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপেও নয়।
শিক্ষা বিভাগের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের এমন দমনমূলক কার্যসূচি শোরগোল ফেলে দিয়েছে চারপাশে। জনসাধারণের মুখে কুলুপ এঁটে এভাবে রাজত্ব কায়েম রাখতে চাইছে সরকার। দাবি একাংশের।
শিক্ষা বিভাগের সঞ্চালক এসকে ভুঁইয়ার স্বাক্ষরে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এমনকি, রাজনৈতিক কার্যে জড়িত হয়ে অসম সেবা বিধি, ১৯৬৪-এর নিয়মভঙ্গের অভিযোগ এনে কর্মচারি এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের নিজস্ব জেলার অন্তর্গত খণ্ড প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক, সহকারি পরিদর্শক এবং উপ-পরিদর্শকের কাছে নির্দেশ প্রেরণের জন্যেও বলা হয়েছে।
নাকে দড়ি দেয়ার চেষ্টা রাজ্য সরকারের এখানেই সমাপ্ত নয়। ভারতের চেন্নাইতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি’র বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদে অংশ নেয়ার দোষে কেন্দ্রের সরকার আইআইটি মাদ্রাজে অধ্যয়নরত জার্মানের ছাত্রকে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।
জেকব লিণ্ডেলথাল সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন শুধুমাত্র মানবতার জন্যে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। আর তার মাশুল ভালোভাবেই দিতে হলো পশ্চিমের ছাত্রকে।