গুয়াহাটিঃ বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে অসম সরকার(Assam Government)। এপর্যন্ত ২হাজারের ও বেশি মানুষকে গ্ৰেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। সরকারের এহেন ভূমিকায় অসন্তোষ এবং ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাড়ির মহিলাদের মনে।
স্বামীকে মুক্তির দাবি নিয়ে শতাধিক মহিলা রাস্তায় নেমেছেন। কারও স্বামীকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে, তো কারোর ছেলেকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে।যাদের গ্ৰেফতার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে বেশিরভাই সংসারের একমাত্ৰ উপার্জনকারী সদস্য। সংসার কীভাবে চলবে সেই চিন্তাতেই রাতের ঘুম উড়ে গেছে বাড়ির মহিলাদের।
ইতিমধ্যেই ধুবরির তামারহাট থানায় (Tamarhat Police Station at Dhubri district in Assam) উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্বামীদের মুক্তির দাবি নিয়ে থানার সামনে প্ৰতিবাদে সরব হয়েছেন বাড়ির মহিলারা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশকে সেখানে লাঠি চার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস প্ৰয়োগ করতে হয়। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণে না এলে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে , গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২ ফেব্ৰুয়ারি থেকে গোটা অসমে বাল্যবিবাহের (Anti Child Marriage) বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্ৰীর নির্দেশে চলছে তীব্ৰ অভিযান। মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam CM Himanta Biswa Sarma) হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যাঁরা বাল্যবিবাহ আইন(Child Marriage act) অমান্য করেছেন, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাঁর ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যজুড়ে ধরপাকড় শুরু হয়। ৪ হাজারেরও বেশি অভিযোগ পুলিশে দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অভিযান আরও ৬ দিন চলবে। সবচেয়ে বেশি গ্ৰফতার হয়েছে বিশ্বনাথ জেলায় ১৩৭ জনকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। ধুবরিতে (Dhubri) গ্ৰেফতার ১২৫জন, বাকসায় (Baksa) ১২০, বরপেটায় (Barpeta) ১১৪ এবং কোকরাঝাড়ে (Kokrajhar) ৯৬ জনকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ।
এখনও পর্যন্ত এই অভিযানে প্ৰায় ২ হাজারেরও বেশি পুরুষকে গ্ৰেফতার করেছে অসম পুলিশ(Assam Police)।